পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৪১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খালিফাতাবাদ । ৩২৫ যাহার সমৃদ্ধি-গৌরবের কথা মার্কোপলে ও বহু পটুগীজ প্রভৃতি ভ্রমণকারী জলন্ত ভাষায় বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন, তাহার কোন নিদর্শন নাই ; উহ সম্পূর্ণরূপে ভীষণ সমুদ্রের কুক্ষিগত হইয়াছে। উক্ত রাস্ত দ্বারা “বাঙ্গালা” নগরীর সহিত খালিফতাবাদের সম্বন্ধ স্থাপিত হইতেও পারে। যাহা হউক, সে বিষয়ে কোন নিশ্চয়তা নাই। তবে চাদপুর হইতে চট্টগ্রাম পৰ্য্যন্ত একটি জঙ্গলাবৃত রাস্ত থাঞ্জালীর রাস্ত বলিয়া প্রসিদ্ধ আছে, তাহ আমরা জানি। চট্টগ্রাম হইতে থ1 জাহান অনেক প্রস্তর আনিতেন। সে সকল প্রস্তরবোঝাই নৌকা বলেশ্বর ও ভৈরবের পথে মগরার খালে প্রবেশ করিত এবং পূৰ্ব্বোক্ত জাহাজঘাটায় অবতরণের পর গোশকটে করিয়া নানাস্থানে নীত হইত। কোতোয়ালী চৌতার হইতে একটি রাস্ত পশ্চিমমুথে গিয়াছিল, ঐ রাস্তার বামে দক্ষিণে অনেকগুলি মসজিদের ভগ্নাবশেষ দৃষ্ট হয়, উহার একটিকে লোকে “ছিলেখানা” বলে ; এখানে নিশ্চয়ই কোন ফকিরের সাধনক্ষেত্র ছিল। চোঁতারা হইতে যে রাস্ত পূৰ্ব্বমুখে গিয়াছে, তাহার দক্ষিণে বিষপুকুরের পূর্ব ও দক্ষিণে অনেকগুলি মসজিদ ছিল। ইহার মধ্যে দিদার থার নামীয় নবগুম্বজ মসজিদটি সুন্দর। ইহার ভিতরের মাপ ৪০ × ৪০ ফুট ; ভিত্তি ৭ ফুট ; পশ্চিমদিকে দরজা নাই, অন্য ৩দিকে ৩টি করিয়া নয়টি দরজা, প্রত্যেকটির প্রস্থ ৬-৩ ইঞ্চি । গুম্বজের মধ্যে মধ্যবৰ্ত্তীটি কিছু বড়, উহার ভূমিপরিমাণ ১৪ x ১৪ অপর ৮টি প্রত্যেকে ১২-৬ ইঞ্চি। চারিটি প্রস্তর স্তম্ভের উপর গুম্বজগুলি প্রতিষ্ঠিত। এই মসজিদ ছাড়িয়া আর একটু অগ্রসর হইলে ঘাটুগুম্বজের প্রধান রাস্তার সহিত মিলন হয় ; ঐ স্থান হইতে সোজা পূৰ্ব্বমুখে ৩ মাইল পথ অতিক্রম করিলে বাগেরহাট সহর পাওয়া যায়। মিলনস্থানের দক্ষিণদিকে কাঠালতলা ও বাদামতলা নামক ক্ষুদ্র পল্লী এবং উত্তরদিকে বাগমার গ্রাম। বাগমারায় আনরর্থ মসজিদ ও দীঘি আছে এবং কাঠালতলার মধ্যে গঙ্গার্থ ও অন্তান্ত নামীয় আরও কয়েকটি মসজিদের ভগ্নাবশেষ আছে। ক্রমে পূৰ্ব্বমুখে অগ্রসর হইলে দক্ষিণে রণবিজয়পুর গ্রামের মধ্যে খাজাহানের দরগা, দরিয়া খাঁ ও আহম্মদ খাঁর মসজিদ ও দীঘি, এবং কাঠালগ্রামের মধ্যে কাটানি মসজিদ দেখা বায়। বামভাগে কৃষ্ণনগর গ্রামের মধ্যে হোসেন সাহের নামীয় মসজিদ ও