পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৪১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২৬ যশোহর-খুলনার ইতিহাস। দীঘি, হাবলীখানা, একৃতিয়ার খার প্রকাও দীঘি ও মসজিদ এবং অবশেষে দশানিগ্রামের মধ্যে বুড়াখার দীঘি দেখা যায়। হোসেন সাহের প্রসঙ্গ পরে তুলিব, বুড়ার্থার কথা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি। এক্তিয়ার খার দীঘি ছাড়িয়া আসিলে দক্ষিণদিকে কাড়াপাড়ার রাস্তা। ইহারই পশ্চিম গায়ে প্রায় আধমাইল দীর্ঘ পচ দীঘি। দৈর্ঘ্যের তুলনায় ইহার বিস্তার কিছু কম। এরূপ দীর্ঘ দীঘি এতদঞ্চলে আর নাই। তবে ইহার জল ভাল নহে ; সম্ভবতঃ তজ্জস্তই ইহার নাম হইয়াছে পচা দীঘি। সামান্ত কয়েকটিমাত্র কীৰ্ত্তির কথা বলা হইল। প্রদত্ত মানচিত্রে অন্ত কতকগুলি কীৰ্ত্তির স্থান নির্দেশ করা হইয়াছে। আরও কতগুলি যে বিনষ্ট হইয়াছে, তাহার ইয়ত্ত নাই। সমস্ত প্রাচীন সহরের জঙ্গলের মধ্যে অনুসন্ধান করিলে যেখানে সেখানে মসজিদের ধ্বংসচিহ্ন দেখা যায় । সমস্ত প্রদেশ ভরিয়া অনুসন্ধান করিলে ৩৬০টি মসজিদ ও দীঘির কথা অপ্রত্যয় করিবার কারণ থাকে না । কতকগুলি বিলুপ্ত-কীৰ্ত্তির কথা এখানে উল্লেখ করা যাইতেছে ; ঠাকুর দীঘির দক্ষিণে ঘুঘুখালির ডহরের মধ্যে সাতোষ থার দীঘির পশ্চিম পারে যে মসজিদ দণ্ডায়মান ছিল, তাহ কেহ কেহ ভাঙ্গিয় লইয়া গিয়াছে ; মগরা গ্রামে একটি প্রকাগু মসজিদ জনৈক মুসলমান অন্ত কাহারও নিকট বিক্রয় করিয়া ফেলিয়াছে ; ঐ ব্যক্তি খাজাহানের বাড়ীর দক্ষিণভাগে অবস্থিত মসজিদটিও ভাঙ্গিয়া বিক্রয় করিয়াছে ; কোতোয়ালী চোঁতারার সুন্দর অট্টালিকা ভাঙ্গিয়া লইয়া গিয়াছে ; কাঠালগ্রামে বস্তুবাটীর ভিতর যে দুইটি মসজিদ ছিল, তাহার কতকদ্বারা তাঁহাদের নিজের বাট নিৰ্ম্মিত ও কতক অষ্ঠের নিকট বিক্রীত হইয়াছে। উক্ত বাটীতে ২৩টি হাবসিথান ছিল, তাহা আর নাই। উহার প্রত্যেকটির ভিতর সুগভীর কুয়া ছিল ; কুয়াগুলি ইষ্টকপ্রাচীরে বেষ্টিত এবং উপরিভাগে গম্বুজ দ্বারা আচ্ছাদিত ছিল । রণবিজয়পুর গ্রামে একটি বাড়ীতে মসজিদ ও পুকুর প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত ছিল, জনৈক মুসলমান উন্থ ভাঙ্গিয় লইয়া নিজের গৃহ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন ; যে পল্লীতে ঘাটুগুম্বজ অবস্থিত, উহাকে সুন্দরের ঘোষণা বলে, ঐ গ্রামেও বাদামতলায় কয়েকটি মসজিদ ছিল, তাছ লোকে আত্মসাৎ করিয়াছে। যে যে প্রকারে পাইয়াছে, ইট লইয়া নিজের কাজে লাগাইয়াছে। গৃহনিৰ্ম্মাণ করিবার ক্ষমতা বা মুযোগ যাহার হয় নাই;