পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৪১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Voỳê)o যশোহর-খুলনার ইতিহাস। বৰ্ত্তী ছিল। দুই দুইটি সারি মধ্যে চারি পাঁচখানি ইট এড়োএড়িভাবে বসান হইত। কোন ইটই “পট”গাথা, অর্থাৎ চিৎ করিয়া লাগান হইত না ; লম্বালম্বি এড়োএড়ি সব ইটগুলিই “খাদরী” করিয়া অর্থাৎ পাশাপাশি কা’ত করিয়া বসান হইত। দুইটি লম্ব সারির মধ্যে প্রায় ২ ফুট বিস্তৃতি থাকিত । সাধারণতঃ থাঞ্জালীর পাকা রাস্তার বিস্তৃতি প্রায় ১০ ফুট । সহরের মধ্যে প্রধান প্রধান রাস্তা এবং এমন কি চট্টগ্রামের দিকে যে রাস্তা গিয়াছে, তাহারও কতকদূর পর্যন্ত এই ভাবে পাকা করিয়া নিৰ্ম্মাণ করা হইয়াছিল। প্রায় ৫০০ শত বৎসর এই সকল পাক রাস্তার কোন প্রকার সংস্কার হয় নাই, তবুও ইহা ঠিক আছে। অবশু স্বার্থপর লোকের খনিত্ৰ সৰ্ব্বক্ষেত্রেই পুরাকীৰ্ত্তি নষ্ট করিয়া দশজনের অপকার করে, এক্ষেত্রেও তাছা হইয়াছে। রাস্তার ইট লইয় লোকে সামান্ত সামান্ত গৃহকার্য্যে লাগাইয়াছে ; অনেকস্থলে উচুনীচু হইয়া পড়িয়াছে। তবুও খাঞ্জালীর রাস্ত অন্ত কোন গ্ৰাম্য রাজপথ অপেক্ষা কোন প্রকারে নিকৃষ্ট নহে । শক্তিসম্পন্ন মুসলমানদিগের মধ্যে একটি সাধারণ নিয়ম আছে, তাহারা মৃত্যুর পূৰ্ব্বে স্বীয় স্বীয় সমাধিস্থান প্রস্তুত করিয়া যান। এই সকল সমাধিস্থান তাহাদের জীবদ্দশায় মসজিদরূপে ব্যবহৃত হয়, এবং মৃত্যুর পর উহার মধ্যে শবদেহ সমাহিত করিয়া তাহার উপর সমাধিবেদী নিৰ্ম্মিত হয়। এমন কি, সমাধির উপর কোন পাথরখানি কি ভাবে বসাইয়া বেদী গঠিত হইবে, কোন পাথরে কি কি লিপি উৎকীর্ণ থাকিবে, তাহাও সমস্ত ঠিক হইয়া থাকে। মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হইয়া কৰ্ম্মী পুরুষ কোরাণ হইতে নিজের পছন্দ মত স্থান উদ্ধৃত করিয়া এবং অনেক সময়ে স্বয়ং বা মৌলবী দ্বারা নিজের পছন্দমত লিপিকথা রচনা করিয়া রাখিয়া যান। মৃতব্যক্তির অনুচরবর্গ সমাধি গঠন করিয়া নির্দিষ্টস্থলে মৃত্যুর তারিখটি মাত্র লিথিয়া রাখে। এই প্রণালীতে ইতিহাসের পক্ষে একটা অসুবিধা হয় ; নিজের গুণের পরিচয় স্বয়ং কেহ স্পষ্ট করিয়া লিখে না এবং পরবর্তী লোকের জন্যও সে সব লিখিবার স্থান পৰ্য্যন্ত থাকে না। এজন্ত সমাধিলিপি পাঠ করিলে ধৰ্ম্মগ্রন্থের উদাস নীতিকথা যথেষ্ট পাওয়া যায়, কিন্তু মৃতব্যক্তির পরিচয় বিষয়ে কেবল মাত্র তাহার নাম ও মৃত্যু তারিখের উপর নির্ভর: