পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৪২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খাঁ জাহানের শেষ জীবন। vලL6. গুপ্ত, লুপ্ত, রক্ষক, শাসক, পালক, স্রষ্ট, নিৰ্ম্মাতা, শ্রোত, দর্শক, সৰ্ব্বব্যাপক, জ্ঞানী, ন্যায়বান, বিচারক, বিবেচক, দয়ালু, ক্ষমাশীল, পথের আলো, পথিকের সঙ্গী প্রভৃতি। এই ৯৯টি বিশেষণের নিম্নে লেখা আছে —“ঈশ্বরের তুলনা নাই ; তিনি দ্রষ্টা ও শ্রোত ; তিনি (সকলের ) তুষ্টিসম্পাদন করেন ; তিনি সৰ্ব্বপ্রধান প্রভু, শ্রেষ্ঠ সহায়ক।” অৰ্দ্ধগোলাকৃতি পাথরের দক্ষিণের দিকে আরবীয় ভাষায় আছে —“প্রধান পুরুষ, খ জাহান আলির এই সমাধি স্বৰ্গীয় কাননের অংশবিশেষ। ভগবান্‌ ৰ্তাহার প্রতি কৃপালু হউন। ৮৬৩ হিজরীর ২৬শে জেলহজ্জ তারিখ ।” শীর্বপ্রস্তরের নিম্নবৰ্ত্তী প্রস্তরের তাকের উপরিভাগে চারিধার ঘুরাইয়া লেখা আছে — “লুদ্ধ লিপ্ত মমতায় ভুলি ভগবান, ংসারচিন্তায় তুমি রয়েছ মগন ; সময় আসিবে যবে একথা ভাবিবে মৃত্যু সন্নিহিত হ’লে এ চিন্তা জাগিবে ; আছয়ে নরক, তাহা ত্বরায় জানিবে, নরক দর্শনে শেষে কষ্ট উপজিবে ; তোমার কাজেতে হ’বে তোমার বিচার তাহাতে সন্দেহ নাই কিছু মাত্র আর।” এই প্রস্তরপীঠের পূর্বপাশ্বে নিম্নলিখিত উপাসনা লিপিগত আছে – “হে জাগ্ৰত ভগবান! তুমি অনন্ত, তুমি পাপীর আর্তনাদে কর্ণপাত করিয়া থাক ; তুমি গৌরবময়, পবিত্র ; তুমি রাজরাজেশ্বর, তুমি ক্ষমাশীল, তুমি চৈতন্তস্বরূপ, তুমি স্রষ্ট, তুমি স্বর্গমর্ত্যের গঠনকৰ্ত্তা; আমাকে নরক হইতে নিস্তার কর।” এই প্রস্তরপীঠের পশ্চিমপাশ্বে আছে – “হে অবিশ্বাসিগণ! তোমরা র্যাহাকে পূজা করিবে, আমি তাহাকে পূজা করিব না; আমি যাহাকে পূজা করিব, তোমরা তাহাকে পূজা করিবে না; তোমরা যাহাকে পূজা কর, আমি তাহার পূজা করি না ; আমি ধাঁহার পূজা করি, তোমরা তাহার পূজা কর না ; তোমাদের ধৰ্ম্ম তোমাদের অাছে এবং আমার ধৰ্ম্ম আমার আছে।” -