পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৪২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যশোহর-খুলনার ইতিহাস। سوارهها সমাধির উপরিভাগটি প্রায় খ জাহানের সমাধির ন্যায়, তবে ইহার ভিতরে কিছু নাই, একটি সিড়ি দিয়া তন্মধ্যে অবতরণ করা যায়। পীর আলির সমাধি পার হইলেই মধ্যবৰ্ত্তা বেষ্টনপ্রাচীর শেষ হইল। তাঙ্গর বাহিরে একটি প্রকাণ্ড এক গুম্বজ ইষ্টকগুহ আছে ; উহাকে বাবুর্চিখানা বা রন্ধনশালা বলা হয়। খ জাহান শেষ জীবনে যখন সমাধিমন্দিরে বাস করিতেন, তখন তিনি প্রত্যহ অসংখ্য দীন দুঃখী বন্ধুবান্ধবকে ভোজন করাইতেন। উহাদের জন্য অন্ন ব্যঞ্জনাদি বহুসংখ্যক বাবুচ এই গৃহের মধ্যে প্রস্তুত করিত। ইহা এখনও ভাল অবস্থায় দণ্ডায়মান রহিয়াছে। ইহার বাহিরের মাপ ৪০ x ৪০ ; ভিতরের মাপ ২৬ × ২৬ ফুট, ভিত্তি ৭ ফুট। গৃহটির পশ্চিমে কোন দরজা নাই ; উত্তরে দক্ষিণে একটু করিয়া দরজা আছে এবং পূৰ্ব্বদিকে আছে তিনটি, উহার মধ্যে পাশ্ববৰ্ত্তী দুইটির প্রত্যেকের বিস্তার ৩-৬ ইঞ্চি এবং মধ্যবৰ্ত্তী বড় দরজাটির বিস্তার ৬ ফুট ; উত্তর দক্ষিণের দরজার প্রত্যেকের বিস্তার ৪ – ১০ ইঞ্চি । গুম্বজের উচ্চতা প্রায় ৩৬ ফুট। বাবুর্চিখানা হইতে দক্ষিণ পশ্চিম দিকে ঠাকুরদীঘির উত্তর পশ্চিম কোণে একটি মসজিদ আছে, উহাকে জেন্দাপীরের মসজিদ বলে। এই জেনাপীর থা জাহানের একজন প্রিয় অমুচর এবং বিখ্যাত বুজরুক ছিলেন। গা জাহান নিজে যেমন অদ্ভূত ক্ষমতাসম্পন্ন ছিলেন, তেমনি অষ্ঠ কোন ফকিরকে সেইরূপ বুজরুকীতে পারদর্শ দেখিলে, তাঙ্গকে আনিয়াও নিজের দলভূক্ত করিয়া লইতেন। প্রবাদ আছে, তিনি চাদ খা, বাঘ খা নামক অলৌকিক শক্তিসম্পন্ন দুই ভ্রাতাকে ফরিদপুর হইতে আনাইয়া খালিফতাবাদের নিকটবৰ্ত্তী ধোপাখালি গ্রামে বসতি করাইয়া ছিলেন। জেন্দাপীরও এইরূপ একজন প্রিয় সদস্ত। জেনাপীর তাহার নাম নহে, ইহা একটি উপাধি মাত্র । এই ফকিরের প্রকৃত নাম কি ছিল, জানিবার উপায় নাই। শ্রীহটুে সাহ জালালের সঙ্গী শিষ্যগণের মধ্যেও এক জেন্দাপীর ছিলেন, দেখিতে পাই; শ্রীহট্টে জিন্দা বাজার ইহারই নামে স্থাপিত। খাঁ জাহানের জেনাপীর সম্বন্ধে অনেক অলৌকিক গল্প আছে ; তন্মধ্যে একটি এখানে দেওয় যাইতেছে । কথিত হয়, জেন্দাপীর এমনই ধৰ্ম্মনিষ্ঠ ছিলেন যে প্রতিরাত্রিতে নমাজের পর তিনি ঈশ্বরানুগ্রহে সহস্ৰ সুবর্ণমুদ্রা পাইতেন এবং প্রত্যহ