পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৪৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७१● · याभाझ्द्र-धूल्नांद्र इंडिशन । পড়িলে, মৃতবোধে তাহার দেহ গঙ্গায় নিক্ষিপ্ত হইল। অচিরে তিনি পুনৰ্জ্জীবন লাভ করিয়া তীরে উঠিয়া হরিনাম করিতে লাগিলেন। এই সময়ে চৈতন্যদেব প্রেমতরঙ্গে নবদ্বীপ অঞ্চল মাতাইয়া তুলিয়াছিলেন। হরিদাস আসিয়া তাহার সহিত যোগ দিলেন। পরে চৈতন্তদেব পুরীতে অবস্থিতি করিবার সময়ে হরিদাসও তথায় বাস করিয়াছিলেন। এই স্থানেই তিনি চৈতন্য-চরণে মস্তক রাখিয়া হরিনাম করিতে করিতে, জীবন-যজ্ঞের পরিসমাপ্তি করিয়াছিলেন। পুরীতে এখনও হরিদাসের মঠ আছে। সে মঠ দর্শন না করিলে হিন্দু যাত্রীর পক্ষে পুরীপৰ্য্যটন বিফল হয়। দ্বাদশ পরিচ্ছেদ-রামচন্দ্র র্থ। । হরিদাসের বেনাপোলত্যাগের পর রামচন্দ্র র্থ বহুদিন পর্য্যন্ত জীবিত ছিলেন। রামচন্দ্র হুসেন সাহের নিকট হইতে যে যথেষ্ট অনুগ্রহ লাভ করিয়াছিলেন, তাছাতে সন্দেহ নাই। র্তাহার রাজ্য সমুদ্রপৰ্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল শুনা যায়, তিনি কঠোরভাবে শাসনদণ্ড চালনা করিতেন। এজন্ত র্তাহার আয়ও যথেষ্ট ছিল। তিনি বঙ্গেশ্বরকে কর দিতেন না। এই সকল কারণ হইতে বোধ হয় হলেন সাহ শৈশবকালে যে র্তাহার আশ্রয়ে কিছুকাল প্রতিপালিত হইয়৷ ছিলেন, তাহা অসত্য নহে। তিনি সাধারণতঃ রামচন্দ্র নামে পরিচিত হইলেও তাহার প্রকৃত নাম ইহা ছিল না । শান্তিধর নামক এক ব্রাহ্মণ হুসেন সাহের নিকট “রাম খা” উপাধি পান। এই রাম খাঁ উপাধি, শেষে রামচন্দ্র র্থ হইয়া দাড়াইয়াছে। রামচন্দ্র বহু অর্থ বিলাসবাসনা-তৃপ্তিয় জন্ত ব্যয় করিতেন বটে, কিন্তু তাহার পুণ্য কার্য্যেয় ব্যয় ও যথেষ্ট ছিল। বেনাপোলের সন্নিকটে কাগজপুকুরিয়া গ্রামে র্তাহার বিস্তীর্ণ রাজবাটীর ভগ্নাবশেষ রহিয়াছে। প্রথমতঃ একটি বাহিরের পরিখা ; উহা বৃত্তাকারে চারিদিক্‌ বেষ্টন করিয়াছিল। উহার মধ্যে একটি চতুষ্কোণ গভীর পরিখা ছিল, উহ! এখনও বর্তমান। কোন কোন স্থানে বেশ জল আছে ; ঐযুক্ত কুঞ্জেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মহাশয় এই রাজবাটীর অসংখ্য ভগ্নস্তপের পাশ্বে উত্তর