পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৪৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sసెళ যশোহর-খুলনার ইতিহাস । অভিন্ন ব্যক্তি বলিয়াছেন। সুতরাং মুকুটরায়ের সহিত যুদ্ধ বিগ্রহও গোরাইগাজী করিয়াছিলেন, ইহাই স্থির হইয়াছে। আমরা ইহার সহিত একমত হইতে পারি না। পীর গোরাচাদ সম্বন্ধীয় এক স্বতন্ত্র মুসলমানী পুথি আছে, তাহাতেও মুকুট রায়ের গল্প নাই। তবে পীর গোরাচাঁদ দেউলিয়ার চন্দ্রকেতু রাজার ধ্বংসের কারণ তাহ শুনিতে পাওয়া যায়। হিন্দু রাজত্বকালে বালাও বাগড়ী বিভাগের একটি প্রধান শাসনকেন্দ্র ছিল। পাঠানেরাও এই স্থানে একজন শাসনকৰ্ত্ত পাঠাইয়া দক্ষিণ দেশ শাসন করিতেন । প্রাচীন দ্বিগঙ্গার সন্নিকটে দেউলিয়া বলিয়া স্থান ছিল ; দেউলিয়া এখনও আছে। এই স্থানে চন্দ্রকেতু নামে রাজা ছিলেন, গোরাই গাজী তাহাকে মুসলমান করিবার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেন, কিন্তু প্রতাপান্বিত যবনদ্বেষী চন্দ্রকেতুকে বশীভূত করিতে পারেন নাই। তখন গোরাইগাজী রাজসরকারে তাহার নামে নালিস করেন। এই সময়ে বালাগুীয় পীর সাহ নামক একব্যক্তি পাঠান শাসনকর্তা ছিলেন। চন্দ্রকেতুর সর্বনাশ সাধনের ভার পীর সাহের উপর পড়ে। পীর সাহ চন্দ্রকেতুকে আহবান করিয়া লইয়া গিয়া তাহার উপর নানা অত্যাচার করেন। এখানেও সেই পারাবতের গল্প আছে * পীরসাহ বালাগুীয় বন্দী হইলে পারাবত উড়িয়া গিয়া সংবাদ দেয়, তাহাতে পরিবারবর্গ সকলে জলমগ্ন হইয়া প্রাণত্যাগ করেন। চন্দ্রকেতু শেষে উদ্ধার পাইলেও স্বজনহীন জীবন ধারণ করিতে স্বীকৃত না হইয়া আত্মহত্যা করেন। দেউলিয়া শ্মশান হইয়া যায়। এখনও সেখানে কিছু ভগ্নাবশেষ আছে। এদিকে গোরাই গাজী হাতিয়াগড়ে যান। তথায় রাজা মহিদানন্দের পুত্র অক্ষয়ানন্দ ও বকানন্দ শাসন করিতেন । ইহাদের সহিত গোরাচাদের বিবাদ ও যুদ্ধ হয়। তাহাতে বকানন নিহত হন এবং গোরাই গাজী ভীষণভাবে আহত হইয়া বালাগুরি সন্নিকটবৰ্ত্তী হাড়োয়ায় আসিয়া মৃত্যুমুখে পতিত হয়। কালু ঘোষ নামক একজন গোয়ালা তাহার সমাধি কাৰ্য্য সম্পন্ন করে। অবশেষে সেই কথা তদানীন্তন বঙ্গেশ্বর আলাউদ্দীনের (১২৩০—১২৩৭) কর্ণগোচর হইলে 3. তিনি গোরাই গাজীর সমাধির উপর মসজিদ নির্মাণ করিয়া দেন এবং মসজিদের • ffm t# •rsittfre; •" v +: Hunter's Statistical Accounts Vol. ị pp. iii-3