পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৪৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঠান আমলে দেশের অবস্থা । 8evo অনুকরণ করিতে হইয়াছিল। অনেক সময়ে তাহাদিগকে হিন্দু মিন্ত্রী দ্বারা কাজ করাইতে হইত ; হিন্দু-মন্দিরের উপাদান মসজিদে লাগাইতে হইত, সুতরাং হিন্দুর ছাঁচ থাকিয়া যাইত। • পাঠানের শুধু গোল গুম্বজে এবং গুম্বজের সংখ্যাধিক্যে বিশিষ্টত দেখাইতেন। এই সংখ্যা বৃদ্ধি করিবারও একটা নূতন রীতি ছিল। সংখ্যার মধ্যে র্তাহার ১, ৩, ৫, প্রভৃতি বিজোড় সংখ্যা গুলির সম্মাননা করিতেন। কোথায়ও ২, ৪, প্রভৃতি জোড় সংখ্যার গুম্বজওয়ালা মসজিদ নাই। খাজাহানের সমাধি মন্দির হইতে আরম্ভ করিয়া এক গুম্বজ মসজিদের অভাব নাই উহা যেখানে সেখানে দেখিতে পাওয়া যায়। সমাধি গৃহগুলি প্রায় একগুম্বজই হইত। তিনগুম্বজ মসজিদও সাধারণ প্রকৃতি ; গৃহস্থ মুসলমান মসজিদ নিৰ্ম্মাণ করিয়া কীৰ্ত্তি রাখিলে প্রায় ত্রিগুম্বজ মসজিদই করিয়া থাকে। পঞ্চগুম্বজ মসজিদ সচরাচর দেখা যায় না ; বাগেরহাটে হুসেন সাহের যে মসজিদ আছে, তাহা পঞ্চগুম্বজের দুই সারিতে অর্থাৎ দশগুম্বজে সম্পূর্ণ। আমরা পরে দেখিতে পাইব প্রতাপাদিত্য র্তাহার পাঠান সেনার জন্য যে বিখ্যাত “টেঙ্গ মসজিদ” নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছিলেন, তাহ পঞ্চগুম্বজবিশিষ্ট। আবার বিজোড় সংখ্যাগুলিকে পরস্পর গুণ করিয়াও গুম্বজের সংখ্যা নির্ণীত হইত, যেমন ৩x৩=৯ ; ৩ x ৫=১৫ ; ৩ × ১১ =৩৩, ৭ × ১১ =৭৭ প্রভৃতি। এতন্মধ্যে হিন্দুদের নবরত্ন মন্দিরের মত পাঠানের নরগুম্বজ মসজিদের খুব আদর ছিল, আমরা দেখিয়াছি, বাগেরহাটে দিদার খাঁ মসজিদ ও মসজিদকুড়ে বুড়া খার বিখ্যাত মসজিদ উভয়ই নবগুম্বজবিশিষ্ট। আমরা পূৰ্ব্বে দেখাইতে চেষ্ট৷ করিয়াছি যে, খাজাহান দিল্লীশ্বর মামুদ তোগলকের উজীর ছিলেন ; ঐ মামুদের পিতামহ বিখ্যাত নৃপতি ফিরোজ সাহের এক উজীর ছিলেন, তাহারও নাম খাজাহান। সেই খাজাহান ১৩৬১ খৃষ্টাব্দে দিল্লীতে বিখ্যাত “কালান মসজিদনিৰ্ম্মাণ করেন । দিল্লীতে ইহা একটি অতি প্রাচীন কীৰ্ত্তি। ঐ মসজিদে • Though general plan is Saracenic. the details are broadly Hinduistic. This Hindu influence was quite natural. The Governors had to depend entirely on Hindu artisans for construction and for materials they utilised the fragments of Hindu temples they had demolished.-J. A. S. B. Vol. Vl. No 1. See also Havell's Indian Architectures 阿、 *3, 13, at 3