পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ-নদী সংস্থান । ૨છે কবির ফেলিল। ফলে কচুয়া হইতে আলাইপুর পর্যন্ত ভৈরবের সমস্তটাই মজিয় আদিতেছে। গবর্ণমেণ্ট হইতে দুইবার অপরিমিত অর্থবায়ে এই নদী কাটাইবার বাবস্ত করায়ও বিশেষ ফল হয় নাই। প্রকৃত রোগ না সারিলে সাময়িক উপশান্তিতে কাজ হয় না। যশোহর খুলনার সর্ব প্রধান নদী ভৈরব এই ভাবে নানা স্থানে ভরাট হইয়া গিয়া দুইজেলার কত যে অপকার করিতেছে, তাহ বলিবার নছে । কপোতাক্ষে শৈবাল জমিয়া জলজ উদ্ভিদাদির জন্য শীর্ণকায় হইলেও তাঁহাতে এখনও নৌকাদি চলে, ঝিকরগাছা হইতে দক্ষিণ দিকে ষ্টীমারও যাতায়াত করিতেছে ; কিন্তু ভৈরবের মাত্র বসুন্দিয়া হইতে আলাইপুর পর্য্যন্ত ৩০মাইল পথে রীতিমত নৌকা পথ আছে। কপোতাক্ষের মত বেতন ( বেগবতী বা বেত্রবতী ) ভৈরবের একটি শাখা । ইহা যশোহরের অন্তর্গত মহেশপুরের সন্নিকটে ভৈরব হইতে বাহির হইয়া, বর্তমান রেলষ্টেশন নাভারণ (যাদবপুর ), উলসী, সামটা, বাঘআঁচড়া প্রভৃতি স্থানের পার্শদিয়া খুলনার সীমায় প্রবেশ করিয়াছে এবং “বুধহাটার গাঙ্গ” বলিয়৷ পরিচিত হইতে হইতে নিয়ে আসিয়া খোলপেটুয়া হইয়াছে। খোলপেটুয়া নানাদিক্ হইতে গালখেসিয়া প্রভৃতি অসংখ্য ছোট বড় শাখার সহিত যুক্ত হইয়। বিশাল বিস্তার লাভ করিয়াছে এবং ১৬ মাইল এই ভাবে গিয়া কপোতাক্ষে মিশিয়াছে। তথা হইতে সম্মিলিত প্রবাহের নাম আড়পাঙ্গাসিয়া । কপোতাক্ষ হইতে হরিহর ও ভদ্র নামক আর দুইটি শাখা পূৰ্ব্ব দক্ষিণ মুখে প্রবাহিত ছিল। এক সময়ে হরিহরের কুলে লাউজানি, মণিরামপুর ও কেশবপুর প্রভৃতি প্রসিদ্ধস্থান শোভা পাইত। হরিহর গিয়া ভদ্রে মিশিয়াছিল, কিন্তু ভদ্রের আশ্রয়েও মৃত্যুর হাতে নিস্তার পায় নাই। কারণ ভদ্রনদ নামে ভদ্র হইলেও তখন কাজে বড় অভদ্র ও তরঙ্গসস্কুল ছিল। মঙ্গলবারের মত ভদ্রনাও নামে এক, কাজে অন্য বুঝাইয়া দিত। প্রাচীন কালে এই ভদ্রই ছিল যশোর রাজ্যের উত্তর সীমা। ভদ্রের সহিত কপোতাক্ষের সঙ্গম স্থানে ক্রিমোহিনী ও মীর্জানগরে মোগল ফৌজদারের রাজধানী ছিল, সেখান হইতে ভজ কেশবপুর যুক্তির দেী বন ভরতভায়ন প্রভৃতি স্থানের শোভা বর্জন কৰি এক বিস্তীর্ণ অঞ্চর বহু সামাজিক কাৰ ব্ৰাহ্মণের কতি কাইয়াছিল। আৰ জয় ছুরি গ্ৰন্থ BBBB BB BBB DD BB BBB DDD DDDSDD DDD Dmmm