পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ—নদী সংস্থান। ২৩ পডিয়াছে। + এজন্য সপ্তগ্রামের নিকট সেই সঙ্গমস্থলের নাম মুক্তত্রিবেণী । এই ত্রিবেণী হইতে যমুনা কিছুদূর পর্য্যন্ত চব্বিশ পরগণা ও নদীয়া এবং উৎপরে চব্বিশ পরগণা ও যশোহরের সীমা নির্দেশ করিয়া, পূৰ্ব্ব দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হইয়াছে। যমুনা যেখানে ভাগীরথী হইতে প্রথম উঠিয়াছে, তথাকার সেই দুরবস্থ প্রাচীন খাত সাধারণের নিকট বাঘের খাল বলিয়া পরিচিত হইয়াছে। যমুনা ক্রমে চৌবেড়িয়া, জলেশ্বর, ইচ্ছাপুর ও গোবরডাঙ্গ ঘুরিয়া, দক্ষিণ দিকে পদ্মা নামক শাখা বিস্তার করিয়া, অবশেষে চারঘাটের কাছে টিপির মোহনায় ইচ্ছামতীর সহিত মিলিত হইয়াছে। যমুনার যেন একটা স্বভাব এই যে, সে অধিক দূর পর্য্যন্ত একক অগ্রসর হইতে পারে না ; একবার যেমন গঙ্গয় ডুবিয়াছিল, এবার তেমনি ইচ্ছামতীতে আত্মসমর্পণ করিয়া নিজের নাম বিলুপ্ত করিয়া দিল। ইচ্ছামতী সোজা দক্ষিণ দিকে চলিল। বসুরহাট ( বসিরহাট), টাকী, শ্ৰীপুর, দেবহট্ট, বসন্তপুর ও কালীগঞ্জ দিয়া একেবারে ইচ্ছামতী yযশোরেশ্বরীর পীঠমন্দিরের সন্নিকটে যশোর নগরের পাদদেশে পৌছিল। সেখানে আবার যমুনা পৃথক হইল, সে ডানদিকে আসিয়া দক্ষিণ মুখে সমুদ্রে পড়িয়াছে, এবং ইচ্ছামতীও বামভাগে গিয়া কদমতলী, মালঞ্চ প্রভৃতি নাম পরিবর্তনপূর্বক সাগরে মিশিয়াছে। এই "যমুনেচ্ছ-প্রসঙ্গমে’ প্রতাপাদিতোর ইতিহাসগ্রসিদ্ধ যশোহর ও ধূমঘাটের রাজধানী ছিল। যথাস্থানে তাহার বিস্তৃত বর্ণনা দেওয়া হইবে । বসন্তপুর হইতে এই যমুনা একদিন যে ঐশ্বৰ্য্য, প্রতিভা ও রণরঙ্গ দেখিয়াছিল, আজ তাহার চিহ্নগুলিও বিলুপ্তপ্রায়। যে যোজনবিস্তীর্ণ নদী প্রতাপের যশোরদুর্গের সমীপে অসংখ্য নৌবাহিনীর মাস্তুলসজ্জায় কণ্টকিত দেখা যাইত, আজ সে অভিশপ্ত নদী একগাছি শীর্ণকায় খালের মত বদ্ধজলপূর্ণ রহিয়াছে। কালের বিপৰ্য্যয়ে যমুনার অনেক বিপৰ্য্যয় হইয়াছে এবং তজ্জন্ত খুলনার দক্ষিণাংশবাসী লোকসমূহের অবস্থান্তর বটিয়াছে। বসন্তপুরের উত্তরাংশে যমুন-ইচ্ছামতী হইতে কালিী প্রস্থায়দগরাযাম্যে সরস্বত্যান্তধোভরে उन्नचिह्न थग्नां★ख भत्रोष्ठी वजून गड -