পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○○ যশোহরুখুলনার ইতিহাস । খুলনার সীমার মধ্যে প্রত্যেক প্রবহমান নদীতেই কুমীরের অত্যাচার আছে । এজন্য স্নানের জন্ত নদীতে লোকে ঘাট ঘিরিয়া লয়। যশোরের সীমায় কুমীর যায় নাই। থাঞ্জালীর দীঘিতে কয়েকস্থানে পোষা কুমীর আছে, তাহার মানুষ খায় না। মধুমতীতে “ভেসাল” নামে একজাতীয় কুমীর আছে, উহারাও মানুষকে খাদ্যগণ্ডী-ভুক্ত করে নাই। দুই একটি নদীতে হাঙ্গর বা কামট দেখা যায় ; উহার পাঙ্গাস মাছের মত, কিন্তু প্রকাণ্ড এবং ৬৭ হাত পৰ্য্যন্ত দীর্ঘ হয়, উছাদের তিনপাটি মুতীক্ষু দাতে জলের ভিতর কখন, মানুষের হাত প৷ কাটিয় লয়, তাছা বুঝা যায় না। তবে ভাগাক্রমে দুই একটি প্রবল নদীতে ব্যতীত এ উৎপাত নাই। শুশুক গভীর নদীমাত্রেই আছে। নানাবিধ কচ্ছপ নদীতে ও খালে দেখা যায়। উহাদের মধ্যে যাহার মড়া খায় এবং আকারে প্রকাগু :তাহাদিগকে “টালীয়ান” বলে । সম্ভবতঃ ইহাদের গাত্রাবরণে ঢাল প্রস্তুত হইত, তজ্জন্ত এরূপ নাম। এক সময়ে এই সকল কচ্ছপের খোলা বহু পরিমাণে বিদেশে রপ্তানি হইত। সে ব্যবসায় অনেকদিন উঠিয়া গিয়াছে; কারণ বিদেশে যাওয়ার নাবিক যে মুসলমানগণ, কচ্ছপ স্পর্শ করাও তাঁহাদের ধৰ্ম্মবিরুদ্ধ। নদীতে আর যে একপ্রকার ছোট কচ্ছপ বা কাটাছুর এবং বিলে ও পুষ্করিণীতে “মুন্ধি” কচ্ছপ জন্মে,তাহ। এদেশীয় অনেক উচ্চশ্রেণীর হিন্দুতেও তুষ্টির সহিত খায়। দক্ষিণাংশ হইতে চিংড়ি, তেটুকী, পশিয়া, ভাঙ্গান প্রভৃতি মৎস্ত ও কাকড় প্রভূত পরিমাণে খুলনা জেলায় আমদানী হয়। আজকালবড় বড় কারখানা হইতে শুকুন। চিংড়ি মাছ ভারে ভারে বিদেশে যাইতেছে। মধুমতী, রূপসা ও ভৈরবে যথেষ্ট ইলিশ মাছ পড়ে ; মধুমতীর ইলিশ অপরিমিত পাওয়া যায় বটে, কিন্তু খুলনার ইলিশের মত সুস্বাঢ় নহে। যশোর খুলনার নদীতে উত্তরভাগে রোহিত (রুই ), কাতলা, মৃগেল, বাউস, চিতল, সিলিন্দা ও আইড় প্রভৃতি উৎকৃষ্ট বড় মৎস্ত এবং বিল ও বাওড়ে কই, মাগুর, সিঙি, শইল, বাইন, পুটি, খলিসা, ফলই, পাবদা, রয়ন, টেংরা প্রভৃতি বহুবিধ মৎস্ত পাওয়া যায়। এদেশের খাদ্যোপকরণের প্রধান মৎস্ত, এবং মৎস্তের মধ্যে “যগুরে কই” বহু বিদেশেও পরিচিত ছিল। তেলিঙ্গটি পরগণা পূৰ্ব্বে যশোরে ছিল, এখন ফরিদপুরের অন্তভুক্ত হইয়াছে। সেখানে ব্যতীত তেমন বড় কই এখন আর যশোরে পাওয়া ধায় না, বাহা কিছু পাওয়া যায়, তাছাও অত্যন্ন। এখন “ধগুরে কই" নাই, இ,