পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ψυίγ' যশোহর-খুলনার ইতিহাস । “জীবনং জীবনং হস্তি প্রাণান, হস্তি সমীরণঃ। যশোহরে কিমাশ্চর্যাং প্রাণদ যমদূতিকা।” যমদৃতিক শব্দের এক অর্থ, তেঁতুল। পূৰ্ব্বে কল কয়েকপ্রকার মাত্র ছিল, যথা জিন বা ঠাঁটে (লম্বীর), দয়া কলা ( বীচিযুক্ত ), চাপা এবং সবরী (মৰ্ত্তবান ), এখন চিনিচাপ, কাবুলী, রামকেলি, কানাইবাশীর চাষ হইতেছে। ২৩ রকম কাচকলা পূৰ্ব্বেও ছিল, এখনও আছে। কতকগুলি বিদেশী ফল এদেশে আসিয়াছে, যথা মৰ্ত্তবান কলা ( মার্ভাবান দ্বীপ), বাতাপি লেবু (ব্যাটাভিয়া সহর), পেঁপে (পাপুয়া দ্বীপ), কলম্বো লেবু (কলম্বো সহর), তন্মধ্যে ডাক্তারের প্রশংসা পত্র পাইয়া পেপের কিছু পশার হইয়াছে। মূল্যের লোভে লোকে যত্ন করিয়া ইহা লাগাইতেছে। দেশে লোণ আসিয়া আতা ও ডালিম উঠিয়া যাইতেছে, কিন্তু লোণ দেশে নোনা মন্দ হয় না। আনারস পূৰ্ব্বে আমাদের দেশীয় ফল ছিল না কিন্তু ইহা অতি মুখরোচক । দৌলতপুরের আনারস বিখ্যাত। ইহা ব্যতীত কেফল ডডয়া ও নানাজাতীয় আমড়া অম্লের জন্ত ব্যবহৃত হয়। রাস্তায় অশ্বথ, বট, বাদাম, কদম্ব, অর্জুন, শিরীষ, আম, জাম, কাটাল ও (যশোরে) বাবল ছায়াদান করে। বাউ ও কৃষ্ণচূড় দেবমন্দির, বিদ্যালয় বা বারোয়ারী স্থানে প্রহরিস্বরূপ। তাল, সোণালি ও কাটাল গাছে খুটি এবং আম, জাম, কাটাল, পুছয়, শিরীষ, শিমুল প্রভৃতি বৃক্ষে তক্ত হয়। রয়ন, মাটাম, জিওল, ছাতেনী (সপ্তপর্ণ), সাড়া, জিয়াপতি প্রভৃতি অন্তান্ত বৃক্ষ ংখ্য। বাশের বাস যে কোথায় নাই, তাহ বলা যায় না। ভালুক, জাব ও তল্লা এই তিনপ্রকার বঁাশ এদেশে পাওয়া যায়। বাঁশের মত বেতও সৰ্ব্বত্র। বেতসকুঞ্জ কাহাকে বলে দেখি নাই, তবে বেতের ঝোপে হিংস্রের নিবাস ইহা সকলে জানে এবং বেতসীবৃত্তি বা অনুকরণ প্রবৃত্তিটা বাঙ্গালীর স্বভাবগত হইয়া পড়িতেছে। তরকারীর মধ্যে শিম, বেগুণ, কলা, মুলা, আলু, কচু, লাউ, কুমড়া, ঝিঙ্গা, পটেল প্রধান। ভৈরবের দক্ষিণে ডুমুরিয়া প্রভৃতি স্থানের বেগুণ, ফকিরহাটের নিকটবর্তী বাগদিয়া প্রভৃতি স্থানের মূলা, যশোহর সহরের নিকটে ভাল ওল ও কচু, উত্তরাংশে বেরোধান্তের ভূমির আইলের উপর প্রচর পরিমাণে কুমড়