পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8や যশোহর-খুলনার ইতিহাস । কেওড়া বৃক্ষ সমূহের ঘনপত্রে কে যেন হরিদ্বর্ণ ঢালিয়া দিয়াছে, কোনদিকে বা নদীর উচ্চ পাহাড় ভাঙ্গিয়া পড়িয়া সুন্দর বনের বৃক্ষ সমূহের শিকড়রাশির প্রাচুর্য্য প্রদর্শন করিতেছে আর তাহার নিকট দিয়া 'রূপার স্থতার মত খালগুলি সবুজ বনস্থলীর মধ্যে বঙ্কিম ভাবে প্রবেশ করিয়াছে। এ দৃশু যিনি হৃদয় ও চক্ষু লইয়া দর্শন করিয়াছেন, তিনি কখনও ভাবহীন কর্কশ ভাষায় বলিতে পারেন না যে সুন্দরবনের দৃষ্ঠে কোন সৌন্দর্য্য নাই। * তবে একই প্রকার পদার্থ বহুবার ও বহুক্ষণ দেখিলে সকলেই বিরক্ত হয়। এজষ্ঠ বৈদেশিক ভ্রমণকারী সুন্দরবনের মধ্যে ভ্রমণ করিতে করিতে একই প্রকার নদী নালা, একই রকম বনস্থলী, চর ও নদীতীর দেখিতে দেখিতে ক্লান্ত হইয় পড়েন এবং যতদিন না উত্তরদিশ্বৰ্ত্তী সেই যতদূর নয়ন যায় ততদূর বিস্তৃত, কখনও শুামায়মান, কখনও স্বর্ণবর্ণ, ধান্ত ক্ষেত্র সমূহ দেখিতে না পান, ততদিন তাহাদের নয়নে ও মনে তৃপ্তি আসে না সুন্দর বনের বাদ বা বনভূমি যেমন নিরবচ্ছিন্ন জঙ্গলাকীর্ণ তাহার পার্শ্ববর্তী আবাদ বা ধান্ত ভূমি সেইরূপ পরিষ্কৃত ও শস্যাস্তরণে আবৃত হইয়া নয়নানন্দ বৰ্দ্ধন করে। --سمصہ - مست 9 مم--سمت۔

  • “The scenery in the Sunderbans possesses no beauty. The view even from a short distance is a wide stretch of low forest with an outline almost even and rarely broken by a tree rising above dull expanse”. – F. E. Pargiter. “The Sunderbans", Calcutta Review vol. 89 p. 281.

হয়তঃ লেখক কোনও দিন স্বন্দরবনের পশ্চিমাংশে কোন ক্ষুদ্র নদীর মধ্যে দ্রুতগামী ষ্টীমার হইতে গরাণবন দেখিয়া, একটি বদ্ধমূল শুষ্কম্ভাববশে নির্দয় সমালোচকের মত সমস্ত সুন্দরবনের উপর লেখনী চাং ন করিয়াছেন। প্রকৃতপক্ষে হন্দরবনকে সৌন্দর্য্যবর্জিত বলিলে নিসর্গসুন্দরী প্রকৃতির প্রতি কশাঘাত করা হয়। + “Most travellers in passing through this labyrinth of interminable forest, mud and water, become exceedingly wearied with the monotonous appearance of the banks and creeks and are only too glad when they escape into the open and cultivated northern parts of the delta where all the breadth of the land is one vast sheet of rice cultivation.” Calcutta Review, march 1859.