পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ-—সুন্দরবনের উত্থান ও পতম | মুন্দরবন চিরকালই সমতট বা গাঙ্গোপদ্বীপের বর্শ্বস্বরূপ। শতমুখী গঙ্গ ভূমিগঠন করিতে করিতে উপদ্বীপ সীমা যতই দক্ষিণদিকে সরাইয়া লইতেছেন, মুন্দরবনও তত দক্ষিণে সরিয়া যাইতেছে। কতই পরিবর্তন হইতেছে, কিন্তু সুন্দরবনের সেই দেশরক্ষা কার্যের পরিবর্তন হয় নাই। দেশের জলবায়ু এবং ক্ষেত্রের উর্বরতার উপর বনভাগের বিশেষ আধিপত্য আছে। জলই বনের প্রাণ; এজন্ত বনভাগ স্বভাবতঃ সৰ্ব্বত্রই মৃত্তিকার নিম্নে বর্ষার জল সঞ্চয় করিয়া রাখে এবং বনবৃক্ষসমূহ সেই সঞ্চিত জল হইতে উৎপন্ন রসাংশ পত্রসমূহের ভিতর দিয়া বায়ুতে সঞ্চারিত করিয়া দেয়। ইহাদ্বারা আকাশের বায়ু শৈত্য রক্ষিত হয়। বসন্তাগমে বনভূমিতে যে পত্রপ্রাচুর্য দেখা যায়, তদ্বারা পরবর্তী গ্রীষ্মের কঠোরতা–কমাইয়া দিয়া থাকে। এবং দেখা গিয়াছে যেখানে গাছের পাতা সরস থাকে, সেখানে গ্রীষ্মের গরম কষ্টদায়ক হয় না। খোন জঙ্গল নাই, সেখানে অতিবৃষ্টিতে উীক অনিষ্ট উৎপাদন করে। বৃক্ষহীন উলঙ্গপ্রদেশ ভাসিয়া যায়, সেখানকার মৃত্তিক যথেষ্ট জলগ্ৰহণ করিতে পারে না; অথচ সে জলপ্রবাহ দূরবর্তী স্থানে গিয়া প্লাবনের স্বষ্টি করে। ত্তিকামধ্যে জলাশ এবং বায়ুস্তরে জলীয় বাপ কমি যাওয়ায় আবগুকীয় শঙ্গরি সমধিক ক্ষতি হয়। এজন্ত পাশ্চাত্য সভ্যদেশে অতিবৃষ্টির অনিষ্ট নিবার জন্ত কৃত্রিম চেষ্টা জঙ্গল প্রস্তুত করা হইয়া থাকে। দক্ষিণ বঙ্গে কিন্তু জঙ্গলের আধিক্যে স্বভাবতঃ সে অনিষ্টের সম্ভাবনা নাই। এইরূপে স্বভাবের জল নিষ্কাশন ব্যবস্থার মধ্যে জঙ্গলের অস্তিত্ব বিশেষভাবে উল্লেখ যোগ্য। জঙ্গলে যেরূপ নিজ দেহের শৈত্য হইতে বায়ুস্তরের জলীয় বাম্পের পরিমাণ বৃদ্ধি করিতে করিতে মেঘেরও অঙ্গপুষ্ট করিয়া থাকে, মেঘ প্রস্তুত হইয়া সঞ্চালিত হইলে, জঙ্গলে আবার তাহাকে নিজের-দিকে আকর্ষণ করিয়া, দূরে যাইবার পথে অন্তরায় হয়। বঙ্গের দক্ষিণে সাগরকুলে যদি বিশাল অরণ্য নাখতি, তা হইলে বানাপারেমো উত্তর ংে রে দিদি,