পাতা:য়ুরোপ-প্রবাসীর পত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
য়ুরোপ-প্রবাসীর পত্র

বিহারে নীহারে বিবিজনসনে স্কেটিঙ করি,
বিষাদে প্রাসাদে দুখিজন রহে জীবন ধরি।
ফিরে এসে দেশে গলকলর (collar) -বেশে হটইটে—
গৃহে ঢোকে রোখে, উলগতনু দেখে বড় চটে।
মহা আড়ী শাড়ী নিরখি, চুল দাড়ী সব ছিঁড়ে,
দুটা-লাথে ভাতে ছরকট করে আসন পিঁড়ে।’

 এ কবিতাটি যদি সংস্কৃত ছন্দে না পড়তে পারো, তা হলে এর মস্তক ভক্ষণ করা হবে। অতএব, নিতান্ত অক্ষম হলে বরঞ্চ একজন ভট্টাচার্যের কাছে পড়িয়ে নিয়ো, তা যদি না পারো তবে এ কবিতাটি তুমি না হয় পোড়ো না। ইতি।


ষষ্ঠ পত্র

আমাদের ব্রাইটনের বাড়িটি সমুদ্রের কাছে একটি নিরালা জায়গায়, এক সার ২০।২৫টি বাড়ি, বাড়িগুলির নাম হচ্ছে Medina Villas। Villa শুনলে তোমাদের হঠাৎ মনে হবে বাগানবাড়ি। আমি লন‍্ডনে থেকে যখন প্রথম শুনলুম যে, আমরা মেদিনা ভিলায় বাস করতে যাচ্ছি তখন কত কী কল্পনা করেছিলুম তার ঠিক নেই— বাগান, গাছ, পালা, ফল, ফুল, মাঠ, সরোবর ইত্যাদি। বাড়িতে এসে যে দিকে চেয়ে দেখি সেই দিকেই বাড়ি, ঘর, রাস্তা, গাড়ি, ঘোড়া— ‘ভিলা’ত্বর মধ্যে আমাদের বাড়ির সামনে দু-চার হাত জমিতে ছু-চারটে গাছ পোঁতা আছে। বাড়ির দরজায় একটা লোহার কড়া (knocker) লাগানো আছে, সেইটেতে ঠক্ ঠক্ করলেম, আমাদের landlady এসে দরজা খুলে দিলে। আমাদের
৮৪