পাতা:য়ুরোপ-যাত্রীর ডায়ারি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রাথমিক সংকলন

করতে হবে। সেখানে ‘টার্কিশ বাথ’ ব’লে এক রকম নাবার বন্দোবস্ত আছে, তাতে খুব করে পরিষ্কার হওয়া যায়— বোধ হয় আমার ‘য়ুরোপ-প্রবাসীর পত্রে’ তার বিষয় পড়েছ— যদি সময় পাই তো সেইখেনে নেয়ে নেব মনে করছি। আমার শরীর এখন বেশ ভালো আছে—জাহাজে তিন বেলা যে রকম খাওয়া চলে তাতে বোধ হচ্ছে আমি একটু মোটা হয়ে উঠেছি। আমি ফিরে গিয়ে তোমাকে যেন বেশ মোটাসোটা সুস্থ দেখতে পাই ছোটোবউ। গাড়িটা তো এখন তোমারই হাতে প’ড়ে রয়েছে— রোজ নিয়মিত বেড়াতে যেয়ো, কেবলই পরকে ধার দিয়ো না। কাল রাত্তিরে আমাদের জাহাজের ছাতের উপর স্টেজ খাটিয়ে একটা অভিনয়ের মতো হয়ে গেছে— নানা রকমের মজার কাণ্ড করেছিল, একটা মেয়ে বেড়ে নেচেছিল। তাই কাল শুতে অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল। আজ জাহাজে শেষ রাত্তির কাটাব।··· ···

 [৬ সেপ্টেম্বর ১৮৯০]

ভাই ছোটোবউ—আমরা ইফেল টাউয়ার বলে খুব একটা উঁচু লৌহস্তম্ভের উপর উঠে তোমাকে একটা চিঠি পাঠালুম। আজ ভোরে প্যারিসে এসেছি। লন্‌ডনে গিয়ে চিঠি লিখব। আজ এই পর্যন্ত। ছেলেদের জন্যে হামি।

প্যারিস ৯ সেপ্টেম্বর। মঙ্গলবার। ১৮৯০
২৫৩