পাতা:যাত্রাবদল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডানপিটে S বিনয় যুদ্ধ হইতে আসিয়া প্ৰথম প্ৰথম গ্রামেই বসিয়াছিল-তারপরে সে মহকুমায় গিয়া বসিয়াছে। এত পসার। এ অঞ্চলে কোনো ডাক্তারের কেহ কখনো দেখে নাই । সতীশও ডাক্তারী কিরিত স্ব-গ্রামেই কিন্তু ছেলে আসিবার সঙ্গে সঙ্গে তাহার পসার কমিয়া গেল, সবাই বিনয়কে চায়, সতীশকে কেহ বড় একটা ডাকে না । সে সকলকে গর্বের সঙ্গে বলে, তা তো হবেই, বিনয় এসেছেন । অত বড় ডাক্তার, আমরা তো সেকেলে কোয়াক, ওঁদের কাছে কি আমরা পরাজয়েরও সুখ আছে, গর্ব আছে । সতীশ একদিন হঠাৎ আবিষ্কার করিয়া ফেলিল, সে বৃদ্ধের দলে পড়িয়া গিয়াছে। গণেশ মহল্লার সে ডানপিটে সতীশ-ঠাসা বন্দুকের এক দ্যাওড়ে অসিঘাটের ওপারের চরে যে তিনটা পাখী মারিয়াছিল মনে আছে, বুড়য়া মঙ্গলের সময় আলোকিত বজরার পাশ দিয়া ডুব সাঁতার দিতে দিতে কাহাদের আলোকোজ্জল বজরাযাক, সে সব পুরানো কাসুন্দি র্যাটিয়া লাভ কি ? মোটের উপর সতীশকে সবাই এখন “বুড়োকৰ্ত্তা’ বলিতে সুরু করিয়াছে, এটা সে লক্ষ্য করিল ; বিশেষতঃ বিনয় ফিরিয়া আসিবার পর হইতে । নাতিরা স্কুলে পড়ে। সতীশের ছোট ছেলে কিন্তু ভাল হইল না । সে কলেজ ছাড়িয়া দিয়া এতদিন বাড়িতেই বসিয়াছিল-এইবার দাদার ডাক্তারখানায় কম্পাউগুরী আরম্ভ করিলা । জলের স্রোতের মত বৎসর কাটিয়া যাইতেছে । দেখিতে দেখিতে বিনয়ের প্ৰত্যাবৰ্ত্তনের পর সাত বৎসর কাটিল । এই সাত বৎসরে অনেক পরিবর্তন ঘটিয়া গেল। সতীশের জগতে । বিনয় কুসঙ্গে পড়িয়া ঘোর মাতাল হইয়া উঠিয়াছে-পয়সা যথেষ্ট রোজগার করে। কিন্তু হাতে রাখিতে পারে না। কাহাকেও মানে না। যুদ্ধে গিয়াই সে মদ খাইতে e