পাতা:যাত্রাবদল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Se o सद्धिदाaण দাদার মুখে। একই গল্প পঞ্চাশবার সে শুনিয়াছে অন্ততঃ। মুখস্থ বলিতে পারে। তবুও বৃদ্ধ ঠাকুরদাদাকে খুসি করিবার জন্য বলিল-বল না, দাদা ! চন্দ্ৰগিরি পার হবার সময় সেবার নেপালের পথে সেই কি হয়েছিল ? দিব্যেন্দু কখনো নেপাল দেখে নাই, কিন্তু ঠাকুরদাদার মুখে আজন্ম বর্ণনা শুনিয়া চন্দ্ৰগিরি, রত্নগিরি, রকসৌলের পশুপতিনাথ-মেলার দৃশ্য-এসব তাহার মানসপটে সুস্পষ্ট রেখা ও বর্ণেরূপ গ্রহণ করিয়াছিল। চোখ বুজিলেই এ সব যেন সে দেখিতে পায় । সকালে উঠিয়া দিব্যেন্দু চলিয়া গেল । সতীশ বলিল-তোর বাবাকে বলিস দিকি পটল, জুতো এই দ্ব্যাখ, একেবারে নেই।--স্যাণ্ডেলটা সেই তোর বাবার দরুণ, সেবার বাসা থেকে এনেছিলাম, তা ছিড়ে গিয়েচে । দিব্যেন্দু যাবার সময় বলিয়া গেল-এ-সব কথা আমি বলেচি, বোলো না যেন বাবাকে, দাদা। তা হোলে বাবা পিঠের ছাল তুলবে। আমার দিব্যেন্দু চলিয়া গেলে বৃদ্ধ আবার পুরাতন দিনগুলির স্বপ্ন দেখিতে থাকে। আজকাল হাতে কাজকৰ্ম্ম একেবারেই নাই- এ ধরণের অলস জীবন সে যাপন করে নাই কখনো-আপন মনে বসিলেই সেই সব কথাই মনে আসে । গাঙুলী বাড়ীর আন্নাকালী দুটী কচি শসা হাতে পৈঠাতে উঠিয়া বলিল – গাছে হয়েছিল জ্যাঠাবাবু, মা ব’ললে দিয়ে আয়ু । আঁচলের মুড়োয় বাধা কি একটা জিনিস খুলিতে খুলিতে বলিল-আর এই ক’টা- সতীশের মনের নিরানন্দভাব অন্তহিত হইয়া গেল। আগ্রহ উজ্জ্বল চোখে আন্নাকালীর আঁচলে বাধা দ্রব্যের দিকে চাহিয়া বলিল-কি রে ওতে ? মটরডালের বড়ি । বাঃ বাং-দে, রাখি এখানে, মা ।