পাতা:যাত্রাবদল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ది R যাত্রাবদল খান খপ করিয়া ধরিয়া ফেলিয়া বলিল-এসে জ্যাঠাইমা, কোথায় যাচ্চ, Jባርኻ] • • -একেবাবে ঘরের মধ্যে নিয়ে যা, মা । না, আমার হয়েচে যতো বিপদ ; তা ইয়ে আন্না, কলায়ের ডাল রাধবো এখন মা, আজ দুপুরে আমার এখানে দুটাে খাস এখন। পরের বছর হইতে বিনয়ের পসার। একেবারেই কমিয়া গেল। দশ-বারো বছর আগেব ব্যাপার। আর ছিল না, এখন এক মহকুমার টাউনের উপর তিনজন এমবি। পানদোষ ও উচ্ছশ্বিলতার জন্য ভদ্র-গৃহস্থের বাড়ীতে তাহাকে কেহ আজিকাল ডাকে না, তা ছাড়া রোগীরা আসিয়াও ডাক্তারের দেখা পায় না । তাহার পর দেখা দিল পৃথিবী-ব্যাপী মন্দা। পাটের বাজার একেবারে পড়িয়া গেল। রোগ হইলেও আর লোকে ডাক্তার দেখাইতে পারে না । বিনয় মহা অর্থ-কষ্টের মধ্যে পড়িল । সে লোক খারাপ নয, হাতে পয়সা থাকিলে যতক্ষণ খরচ করিতে না পারে, ততক্ষণ তাহার মনে শান্তি হয় না, উদার দিলাদরিযী। মেজাজের মানুষ । বাবাকে সে ইচ্ছা করিয়া যে অবহেলা করে তা’ নয়, বাবা এত ঘনিষ্ঠ, এত সুপরিচিত যে, তাহার সম্বন্ধে সে কোনো খেয়ালই করে না । সতীশ মুখ ফুটিয়া কখনো ছেলেকে জানায়ও নাই তাহার অসচ্ছলতার কথা, পাছে ছেলেকে বিব্রত হইতে হয়। এই অবস্থায় একদিন বিনয় পিতার সহিত দেখা করিতে আসিল । সতীশ অপ্ৰত্যাশিত ভাবে ছেলেকে দেখিয়া মহাব্যস্ত হইয়া উঠিল। সারা বাড়ীর মধ্যে একখানা চেয়ার কি টুল পৰ্যন্ত নাই, ছেলেকে বসিতে দেয় কিসে যে ! বিনয় বলিল-থাক বাবা, থাক, আমি এই যে বেশ বসেছি।