পাতা:যাত্রাবদল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডানপিটে SOV) সতীশ ব্যস্তসুরে বলিল - উঃ, ঘেমে একেবারে- দাড়াও একটু চা করে আনি। ভাড়াটে মোটরে এলে কেন ? তোমার গাড়ী কোথায় ? -গাড়ী আছে, ইঞ্জিন খারাপ হয়ে গেছে মেরামতের জন্য একমুঠ টাকা দরকার, হাতে পয়সা কোথায় ? কাজেই গাড়ী গ্যারেজে পড়ে। -পটল কোথায় ? -কলকাতাতেই আছে। ওর পড়াশুনার যে কি করি ? মেসে তো একগাদা টাকা খরচ, তিন মাসের মেসের দেন। বাকী । কলেজের মাইনেও দু'মাস পাঠাতে পারিনি । পিতা-পুত্রে অনেকক্ষণ পরামর্শ হইল। তিন জায়গায় খরচ বিনয় তো আর পারে না । দেশের বাড়ী, টাউনের বাসা এবং দিব্যেন্দুর মেস ও কলেজের খরচ । কি এখন করা যায় ! বিশেষ কিছুরই মীমাংসা হইল না। উঠিবার সময় বিনয় কুষ্ঠিত ভাবে বাবাকে দু’টীি টাকা দিতে গেল। ছেলের শুষ্ক ও চিন্তাকুল মুখ দেখিয়া বৃদ্ধ টাকা দুটী প্ৰাণ ধরিয়া লইতে পারিল না । বলিল-রেখে দাও এখন, সোমবার দস্তিাঘাটা থেকে ডাক এসেছিল কিছু পেয়েচি, তোমার মোটরের ভাড়াও তো লাগবে আবার ? গ্রামের একটী ছেলে রেলে কাজ করিত, ছুটী লইয়া দেশে আসিয়া প্ৰায়ই সন্ধ্যাবেলা সতীশের কাছে গল্প করিতে আসিত । একদিন সতীশ বলিলদ্যাখো উমাপদ, ভাবচি কি জানো ? তোমার জ্যাঠাইমাকে ওর বাপের বাড়ীতে রেখে আমি কাশী চলে যাই । একজন লোকের কাশীতে বেশ চলবে । নইলে এদিকে সবই তো শুনলে-বিনয় বড় মুস্কিলে পড়েচে রুগী-পত্তর নেই, ডাক