পাতা:যাত্রাবদল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So 8 যাত্রাবদল নেই এই বাজারে দু’টো সংসাব চালানো কি সোজা কথা রে, বাবা ? আমবা চ’লে গেলে, ও তাঁবু খানিকটা খোলসা হয় -ত ছাড কাশীতে আমার বন্ধু-বান্ধব ভত্তি, আহ, কত কাণ্ডই করেচি সব এক সময়, কাশীতে কাকে না চিনি ? উমাপদ আবাল্য এ সব গল্পের সঙ্গে পবিচিত, সে বলিল-পাগল হয়েচেন ? আপনার ছেলেবেলাব আমলেব তাবা কি আর কেউ এখন আছে ভাবচোন ? সে সব কি সতীশ কথাটা পছন্দ কবিল না, বাধা দিয়া বলিল-তুমি কি ক’বে জানলে নেই ? আমাদের সে ডানপিটে দলেব ছেলে হঠাৎ মববাব নয়। জেনো ( “ছেলে’ কথাটা অসতর্ক মুহুৰ্ত্তে মুখ দিয়া বাহিব হইয়া গেল )-সব আছে হেঁ-হেঁ হঠাৎ আমরা মরচি, নে। তুমি জানো না, আমাদের সে দলেব কথা-শুনবে তবে ? উমাপদ ব্যস্ত হইয়া বলিল-ইয়ে, জ্যাঠামশায় আব্ব একদিন ববং এসো-আজি একটু কাজ আছে-উঠি এখন। দিন পনেবো পাবে সতীশ একদিন কাশী ষ্টেশনে দুপুব বেলা নামিল। স্ত্রীকে মেহেবপুরে ছোট শালাব কাছে রাখিয়া আসিয়াছে। আসিবাব সময় বাড়ীব চাবিটা আন্নাকালীর হাতে দিয়া আসিযাছে, বিনষ আসিলে দিবাব জন্য । ছেলেকে কোন খবর দেয় নাই।-কেন মিছামিছি। তাহাকে বিব্রত কবা । কাশীতে নামিয়া মনে একটা অপূর্ব উৎসাহ ও উত্তেজনা অনুভব করিলবালোব সেই কাশী ! এত দিন কি করিয়া ভুলিয়াছিল। সে । বাংলা দেশেব একটা জঙ্গলে-ভরা ছোট্ট পাড়া-গাঁয়ে জীবনের ত্ৰিশটী বছর সারাদিন ধবিয়া সে কাশীব পথে পথে ঘুবিয়া বেড়াইল। পঞ্চগঙ্গা ঘাটে স্নান করিল, বিশ্বনাথ দৰ্শন কবিল। বাল্যের দিনগুলির সঙ্গে জড়িত যে সব জায়গায় একদিনের মধ্যে পায়ে হঁটিয যাওয়া সম্ভব, তাহা সে বড় বাদ দিল মা ।