পাতা:যাত্রাবদল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शीवढ्या SSR এত ঝাল স্থায়, মশাই অত ঝাল খাওয়া আমাব অভ্যোস নেই। আমার স্ত্রী বল্পে —যা পাও, একটা বাসা করে, আমাদের দুজনের খুব চলে যাবে। তোমারও কষ্ট থাকবে না, আমারও এখানে তোমায় বিদেশে ফেলে থাকতে ভাল লাগে না । তাই এবার বাসা করে বড়দিনের ছুটীতে একে আনতে যাই শ্বশুর বাড়ীতেসেখানেই বিয়ের পর আজ চার পাঁচ বছর রেখেছিলাম । দেশে আমার বাড়ী ঘর সবই আছে, কিন্তু সেখানে মশাই সরিকী গোলমাল । সেখানে ওকে রাখার অনেক অসুবিধে-বার দুই নিযে গিয়েছিলাম, তাতেই জানি । আমি বল্লুম-ওঁর কি কোনো অসুখ ছিল--হঠাৎ এমন-অসুখের কথা তো কিছুই জানি নে। তবে মাঝে মাঝে বুক ধড়ফড় কবতো বলতে শুনেচি । অসুখটা আমার বাড়ীতে যখন আনি আর বছর, তখন বড় বেড়েছিল। আমার সে সময় নেই চাকরী, হাতে নেই পয়সা আর এদিকে বাড়ীতে আমার জাঠতুতো ভাইয়ের স্বী-ৰ্তার যৎপরোনাস্তি দুর্ব্যবহার। এই সবে সংসারে শান্তি ...তো ছিল না একদণ্ড ?... ও আবার ছিল একটু ভাল মানুষ মতো-ওর ওপরই যত दकि । খানিকটা আপন মনেই যেন বলতে লাগলেন-কালও বিকেলে কত কথা বলেচে । বাসার কথা আমায় কত জিগ্যেস কল্পে। বলছিল, সেখানে পাতকুয়ো না পুকুর ? আমি বল্লাম-দুইই আছে। তবে পুকুরে রেলের কুলী চাপরাশীরা নায় আর কাপড় কাচে-তার চেয়ে তুমি বাসার পাতকুয়ার জলেই নেও । খাবার জন্যে রেলের বাবুদের কোয়ার্টারে টিউবওয়েল আছে--নিকটেই-সেখান থেকে জল আনাবো । বাসায় পেঁপে গাছ আছে শুনে কত খুসি ! বল্লে, হঁ্যাগ ওদেশের পেঁপে নাকি খুব বড় বড় ? কাল দুপুরের পর থেকে বাক্স গুছিয়েচে.মানকচু সঙ্গে নিয়ে যাবে বলে বিকেলে বেছে বেছে বড় মানকচুটা ওর ভাইকে দিয়ে