পাতা:যাত্রাবদল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

80 खांद्वयढ আমি কথাটা মুখ ফুটে বললাম-পূর্ণবাবু, আপনার শরীরে এসব খাওয়া উচিত নয়-আর এ ধরণের দোকান তো খুব ভাল নয় ? চা বরং এক কাপ খান, কিন্তু এত-এগুলো খেলে পূৰ্ণবাবু হেসে উড়িয়ে দিলেন—খাবো না বলেন কি রামরতনবাবু, খাবার জন্যেই সব। শরীরকে ভয় করলেই ভয়, ওসব ভাবলে কি আর-আপনিও যেমন । রেষ্টোরেন্ট থেকে বার হয়ে এসে আমায় নীচু স্বরে বললেন--কিছু মনে কবৃবেন না। রামরতনবাবু, একসঙ্গে অনেক দিন কাজ করেচি এক জায়গায়। এখানে কোন ভাল বাইজীর বাড়িটাড়ি জানা আছে ? থাকে তো চলুন না। আজ রাতটা-শুনিচি পশ্চিমে নাকি ভাল ভাল-কলকাতায় না হয় আজ নাই গোলাম আমি বুঝিয়ে বললাম, পশ্চিমের যে সব জায়গায় ভাল বাইজী থাকে, গয়া সে তালিকায় পড়ে না । বিহারের কোথাও নয়। কাশী, লক্ষ্মেী, দিল্পী ওদিকেই সত্যিকার বাইজী বলতে যা বোঝায়, তা আছে। পূৰ্ণবাবু বললেন-পাটনাতে নেই ? - আমার তাই মনে হয় । এদিকে আর কোথাও নেই ? না হয় এমনি আর কোথাওকোথাও কিছু নেই। আমি ঠিক জানি । পূৰ্ণবাবু ওয়েটিং-রুমে ঢুকে আমায় বসতে বললেন। পূৰ্ণবাবুকে আরও বেশী বৃদ্ধ দেখাচ্ছিল। আমি তার বাড়িতে কে কেমন আছে জিজ্ঞেস করলাম। থাইসিসের রোগী সেই মেয়েটিকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করাচ্চেন, বড় ছেলেটি বাপের সঙ্গে ঝগড়া ক’রে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েচে আজ বছর দুই-সম্পত্তি পাবার আগেই কাগজে কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে তার খোজ করেচেন। অনেকক্ষণ পৰ্য্যস্ত এসব গল্প শুনলাম ব’সে বসে। পূৰ্ণবাবু গল্পের মধ্যে আরও দু-বার চা আনিয়ে