পাতা:যাত্রাবদল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিনে দেখা 89), হঠাৎ দেখি আমার অনেকদিন আগেকার পুরোনো রুমমেট হিমাংশু । ৭৩ নং কানাই সরকারের লেনে মেসে তার সঙ্গে অনেক দিন একঘরে কাটিয়েছি। সে আজ সাত আট বছর আগেকার কথা-তারপর সে কলকাতা ছেড়ে চলে যায় । আর তার কোনো খবর রাখিনি আজকাল । -এই যে হিমাংশু ? চিনতে পারো ? হিমাংশু চমকে পেছন ফিরে চাইলে এবং কয়েক সেকেণ্ড সবিস্ময়ে আমার দিকে চেয়ে থাকবার পরে সে আমায় চিনলে। হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এল হাসিমুখে । —আরে জগদীশবাবু যে ! তারপর ! ওঃ আপনার সঙ্গে একযুগ পরে-ওঃ ! তারপর আছেন কেমন বলুন ! আমি বল্লাম-তোমার গাছপালার সখ দেখচি আছে হিমাংশু, সেই মনে আছে দুজনে কতদিন এখানে তাটে আসতাম ? হিমাংশু হেসে বল্লে-তা আর মনে নেই ? সেই আপনি দাৰ্জিলিংয়ের লিলি কিনলেন ? আপনার তো খুব সখা ছিল লিলিব। এখনও আছে ? আসুন, আসুন, অন্য কোথাও গিয়ে একটু বসি। ও মেসটার কোনো খবর আর রাখেন নাকি ? আচ্ছা সেই অনাদিবাবু কোথায় গেল খোজ রাখেন ? আর সেই যে মেয়েট ষ্টোভ জ্বালাতে গিয়ে গা হাত পুড়িয়ে ফেল্পে মনে আছে ? তার বিয়ে হয়েচে ? দুজনে গিয়ে একটা চায়ের দোকানে বসলাম । এ গল্প ও গল্প-নানা পুরোনো দিনের কথা। তার কথাবাৰ্ত্তার ভাবে বুঝলাম সে কলকাতায় এসেচে। অনেক দিন পরে । জিজ্ঞেস কল্লাম-আজকাল কোথায় থাকো হিমাংশু ? সে বল্লে-বি, এন আর-এর একটী ষ্টেশনে বুকিং-ক্লার্ক ছিলাম। টাটা নগরের