পাতা:যাত্রাবদল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সার্থকতা (సా খবর পেয়ে তিনি পায়ের বাত সত্ত্বেও ওপাড়া থেকে এসেচেন দেখা করতে । শ্ৰীপতি জিগ্যেস করলেন-ত বাবাজির এখন থাকা হয় কি কলকাতাতেই ? -আজ্ঞে না, আমি থাকি হোসঙ্গাবাদ, নৰ্ম্মাদার ধারে, সি, পি- সেখানেই আমার কাঠের গোলা আর আপিস। কলকাতাতে এসেছিলাম-একটু কাজও ছিল, আর একখানা মোটর কিনবো বলে। কাল তাই ভাবলাম গাড়ীখানা তো কেনা হোল, একবার এতে করে গিয়ে পৈতৃক ভিটেটা দেখে আসি । বলা বাহুল্য ননী কোথায় থাকে। সে কথা কেউ বুঝতে পারলেন না, নৰ্ম্মদ নামে একটা নদীর কথা অনেকে কাশীরাম দাসের মহাভারতের মধ্যে পড়েচোনকিন্তু তার ভৌগলিক অবস্থান সম্বন্ধে এদের ধারণা কুয়াসাচ্ছন্ন শীতের প্রভাতে সমুদ্রবক্ষ থেকে দৃশ্যমান দূরের তীররেখার চেয়ে স্পষ্টতর নয়। পঞ্চ মুখুয্যে একটা সোজা প্রশ্ন জিগ্যেস করলেন-বিয়ে করেচ কোথায় বাবাজি ? -ওই হোসঙ্গাবাদেই, আমার শ্বশুর ওখানকার ডাক্তার। বহুদিন সেখানে বাস করচেন, তবে কলকাতায় সব আত্মীয়স্বজন আছে তাদের । দেখতে দেখতে দু’দিন কেটে গেল । এক বোলা থাকবার জন্যে ননী এসেছিল। এখানে -কিন্তু শৈশবের শত স্মৃতি মাখানো গ্রামকে হঠাৎ ছেড়ে যেতে তার সাধ্যে কুলিয়ে উঠল না । ননীর এক ছোট ভাই ছিল বোবা ও কালা, তিনবছর বয়েসে বর্ষার সময় ননীদের বাড়ীর পেছনে ডোবার জলে ডুবে ম্যাবা গিয়েছিল ; মৃতদেহ যখন ভেসে উঠেছিল তখন জানা যায়, তার আগে হারিয়ে BLL0 BDB E LDLDDD BD DDBDSS সেই ডোবাটি তেমনি আছে। এ-সব পাড়াগায়ে কোনো কিছু হঠাৎ বদলায় না, হয়তো আরও বিশ বছর ডোবাটা থাকবে, হয়তো আরও পঞ্চাশ বছর থাকবে । ননীর বয়েস তখন ছ’বছর, কিন্তু সে বর্ষাদিনের কথা আজও তার বেশ মনে আছে-কখনও কি ভুলবে ? ওপারের ওই ডুমুর গাছের তলায় দাঁড়িয়ে