পাতা:যাত্রাবদল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So *ỳtrụặ: . কিন্তু এসব সত্ত্বেও সতীশের বাড়ীর সামনের বটতলায় রোগীর ভিড় দিন দিন বাড়িয়া চলিল। দিনেরাতে স্নানাহারের সময় নাই, সাত-আট ক্রোশ দূরের গ্ৰাম হইতেও রোগী দেখিবার ডাক আসিতেছে, গরুর গাড়ীতে রোগী দেখিয়া বেড়াইতে বেড়াইতে সতীশ হাফাইয়া পড়িল ৷ প্ৰতিদিন সকালে নিজের বাড়ীতে গড়ে তিন-চারটা সাজ্জিক্যাল কেস লাগিয়াই আছে । ব্যাপার দেখিয়া যাদুরাম একদিন কানাই ডাক্তারকে ডাকিয়া বলিল, “এত রুগী এ-দেশে ছিল কোথায় এতদিন হে ?” গত বিশ বৎসরের মধ্যে যাদু ডাক্তার এত রোগীর ভিড় কখনো দেখে নাই। এ-অঞ্চলে । বেগতিক বুঝিয়া কবিরাজটি একদিন জিনিষ-পত্ৰ বঁাধিয়া অন্যত্র সরিয়া পড়িল — কানাই দরজির দোকান খুলিবার জন্য সুবিধামত দোকান ঘরের সন্ধান করিতে লাগিল। যাদু স্যাকরার অন্য কোনো উপায় ছিল না। এ-বয়সে। আগেকার দু’পাঁচটা বাধা পুরানো ঘর ও পূর্ব-সঞ্চিত সামান্য কিছু টাকার জোরে কোনো রকমে টিকিয়া রহিল মাত্ৰ । সতীশের দু'টি ছেলে ও ছোট একটি মেয়ে । মেয়েটার হঠাৎ একদিন ভয়ানক জর হইয়া পড়িল । নিজের বাড়ীতে নিজে চিকিৎসা করা যায় না বলিয়া সতীশ যাদুরাম স্যাকুরাকে ডাকাইল। যাদুরাম দেখিয়াই বিষন্নমুখে বলিল, তাই তো মুখুয্যে মশায়, এ তো ভয়ানক রোগ, আপনিও বোঝেন, আমিও বুঝি, এ-রোগ তো। এখানে সারবার নয়। এখন অন্য সবাইকে তফাৎ করুন, ছোয়াছুয়ি না হয়, ডিপ থিরিয়া বড় সাংঘাতিক ব্যাপার। কিনা ? যাদুরাম প্ৰাণপণে ক’দিন দেখিল, কিছুই করা গেল না । তৃতীয় দিনে মেয়েটি মারা পড়িল । এই ব্যাপারের পর হইতে সতীশের স্ত্রীর সামান্য মস্তিষ্ক-বিকৃতি ঘটিল-আপন