পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুগান্তর যে ছেলে মানুষ, আমাদের হরের বয়সী হবে, চিমু তার সঙ্গে ইয়ার কী Qቫቘ ? নরু ঠাকুর। সে লজ্জার কথা বলেন কেন ? বয়সে বাপের বয়সী ; বোধ হয়, পরের ছেলের মাথা খাওয়াতে একটা আমোদ আছে। বৈকালে চিমের দরজা দিয়ে কোনও দিন যদি যান, দেখতে পাবেন জহরলাল এসে যুটেছে । তর্কভূষণ । জহরলাল এখানে এসে ঘোটে যে ? রামহরির ভয়ে । বাড়ীতে ইয়ােরকিটা বুঝি ভাল চলে না ? নরু ঠাকুর । আপনার রামহরিরও মুখে আগুন ; দেখেও দেখে না। সে কি জানে না, তার বাহির বাড়ীর বৈঠকখানায় কি কাণ্ড হয় ? তর্কভূষণ। জমিদার বাবুদের আশ্রয় পেয়ে বুঝি চিমুর এত প্ৰতাপ ? নরু ঠাকুর। তা বৈ কি ? একে হাতে টাকা হয়েছে, তাতে বাবুরা সহায়, এখন হাতে মাথা কাটুতে চায়। আরো বাপু টাকা পেয়েছিস, পায়ের উপর পা দিয়ে বসে খা, কেউ ত আর তোর টাকা কেড়ে খাবে না ; লোকের উপর অত্যাচার কেন ? কেবল যে আমার ছেলেটাকে মেরেছে, তা নয় ; সেদিন একটা মেছুলী স্ত্রীলোককে মাছের দর নিয়ে তকরার করে, এমন মারালে । অপরাধের মধ্যে সে বলেছিল,-“মাছ আর কিনে খেতে হয় না। অমন ঢের ঢের বাবু দেখেছি ; যাও, আমার মাছ দাও, আমি তোমাদের কাছে মাছ বেচব না।” আমনি তার মাছের চুবড়ী উল্টে ফেলে দিয়ে গলাধাক্কা দিতে দিতে ক'টা ভেয়ে তাকে প্রায় দু তিন রােস পথ নিয়ে গেল । তৰ্কভূষণ । জেলের মেয়েদের মুখটা কিন্তু বড় খারাপ, কিন্তু তা বলে অবলা স্ত্রীলোকের গায়ে হাত তোলা কি উচিত ? সে ত কাপুরুষের कfद्ध ।