পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ ১৩৩ করা কীৰ্ত্তব্য নয়। অবশেষে নিরুপায় হইয়া এক ভৃত্যসমভিব্যাহারে সন্ধ্যার পর বাতি জ্বালিয়া নিজে তর্কভূষণ মহাশয়ের ভবনে উপস্থিত হইলেন। তর্কভূষণ মহাশয় সমুচিত সৌজন্য সহকারে বাহিরের ঘরে বসিতে আসন দিয়া, অপর সকলকে বাহিরে যাইতে আদেশ করিলেন। রামহরি। মহাশয় চলে আসবার পর ভেবে দেখলাম যে, আমাদের কিছু দণ্ড দেওয়া কৰ্ত্তব্য ; কারণ ব্ৰাহ্মণ বাস্তবিক ধনে প্ৰাণে সারা হচ্চেন। তর্কভূষণ। যা হােক, এ শুভ বুদ্ধিটা যে তোমার ঘটেছে, ইহাই সুখের বিষয় । রামহরি। মহাশয় আমাকে কত টাকা দেবার জন্য আদেশ করেন ? তর্কভূষণ। আমি এ বিষয়ে অনেক ভেবে দেখেছি ; তোমার সম্মুখে । একটা প্ৰকাণ্ড ব্যয় আসছে ; অপরদিকে মেয়েটােরও রক্ষার উপায় । হওয়া চাই ; সকল দিক দেখে আমি স্থির করেছি, যে উহাদের তীর্থযাত্রার জন্য পাঁচশত টাকা দেও ; এবং উহাদের প্রতিপালনের জন্য দেড় হাজার , টাকা দেও। যদিও দেড় হাজার টাকা অল্প হলো, তথাপি ঐ টাকা । তাহারা সুদে দিয়ে কোনও প্রকারে চালাতে পারবে। রামহরির এত টাকা দেবার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু বুঝিলেন, যে, । ব্ৰাহ্মণ ইহার কমে সন্তুষ্ট হইবার লোক নহেন। মনে মনে ভাবিলেন, . দূর হোক ছেলেটার বিবাহে কত হাজার হাজার টাকা যাবে, এ নয়। তার - একটা ব্যয় মনে করা গেল। (প্রকাশ্যে ) “যে আজ্ঞা, আপনি যখন । আদেশ করছেন, তখন তাহাই দেওয়া যাবে। কল্য প্রাতে আমার i. BBD ED DBBDDD DB D DD DD DBBDS DDE BDBS রসিদ লিখে দিবেন।”—এই বলিয়া প্ৰণাম করিয়া পদধূলি লইয়া বিদায় হইলেন ।