পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ ১৩৫ ৷৷ করিয়াছে, তাহার কিছুই উদ্দেশ পাওয়া যায় নাই। এই সংবাদ গ্রামে । প্রচার হইলে, যাহারা তখনও জাগ্রত ছিল, তাহারা সকলেই এক প্রকার । ভীতি অনুভব করিতে লাগিল। কি ভয়ঙ্কর কথা! গ্রামের জমিদারের গ ছেলেকে মারিয়া ফেলিয়া গেল, কে এমন কাজ করিল জানিতে পারা। " গেল না । এই উপলক্ষে নানা প্রকার জল্পনা ও সমালোচনা চলিতে । লাগিল। কেহ বা বলিল,--“আজি কালকার ছেলেরা মদের গ্লাস ধরতে । শিখেছে ; কুসঙ্গীরও অপ্রতুল নাই, মাতালে মাতালে ঝগড়া হয়ে মারামারি | হয়েছে বোধ হয় ;” কেহ বা বলিল “কোথায় কার বাড়ীতে বোধ হয় । যাতায়াত করতো, একলা পেয়ে সাজা দিয়েছে ;” কেহ কেহ বলিল,- “হাঁসের DD S SJ DBDBDBB DDD SBDBD S gDDS BB DBDDSAS श्ड९3 श्रद्ध।” এদিকে জমিদার রামহরি মিত্ৰ মহাশয়ের অবস্থা কিরূপ তাহার বর্ণনা নিম্প্রয়োজন। তিনি যখন শুনিলেন যে তাহার কৃতী পুত্র জহরলালের মৃত দেহ পথের পাশ্বে পাওয়া গিয়াছে, তখন—“অ্যা বল কি ?” বলিয়া । কিছুক্ষণ আর মুখে কথা সরে না । যে পুত্রকে তিনি শিক্ষিত ও কৃতী করিয়া বিষয় রক্ষার জন্য আনিয়াছেন, যাহার হস্তে অচির কালের মধ্যেই । সমুদায় কাৰ্য্যভার ন্যস্ত হইবে, যাহার স্কন্ধে সমুদায় ভার অর্পণ করিয়া । তিনি বহুদিনের আকাঙ্ক্ষিত নিদ্রাসুখ অনুভূব করবেন বলিয়া আশা | করিতেছেন, আর দুই দি ন পরেই যাহাকে লইয়া বিবাহ দিবার জন্য । কলিকাতা যাত্ৰা করিতে হইবে, সেই কুলের প্রদীপ পুত্রের অকাল-মৃত্যু ! . ইহাতে বিষয়ী লোকের মন কি প্রকার হইতে পারে, তাহা সহজেই অনুমান । করা যায়। তিনি অবিলম্বে লোকজনসহ কৈবৰ্ত্ত পাড়ার দিকে ধাবিত হইলেন। গিয়া দেখেন, পাড়ার কতকগুলি লোক আলো জালিয়া জহরলালকে ঘিরিয়া রহিয়াছে ; মুখে জলের ছাট দিতে দিতে ।