পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ סגס\ ל এই পরিবারের শিশু কন্যাগুলি যখন কোন যাত্ৰা বা রামায়ণাদি গান শুনিতে যায়, তখন হয়ত কোন গানের একটা কলি একবার শুনিয়াই এমনি শিখিয়া আসে, যে বাড়ীতে আসিয়া অবিকল নকল করিয়া ও অঙ্গভঙ্গী সহকারে নাচিয়া দেখায়। তর্কভূষণ মহাশয় কতবার সেইরূপ গান শুনিয়া ও নৃত্য দেখিয়া কৌতুক করিয়াছেন। কিন্তু যতদিন তাহদের লজ্জা না থাকে ততদিন নাচিয়া গাইয়া বেড়ায় ; একটু বড় চাইলেই বুদ্ধা রমণীর “দূর হ পোড়ার মুখী” বলিয়া লজ্জা আনিয়া দেন ; আমনি সে সঙ্গীত শক্তি লুকাইয়া যায়। পূর্বেই বলিয়াছি, শঙ্কর ও গৌরীপতি ভয়েই বালাকালে বেশ পাইতে পারিতেন ; কিন্তু অনেক দিন হইল। সে পাট সাঙ্গ হইয়াছে । কত বৎসর হইল আর তঁাহারা মুখ খোলেন নাই । তঁাতাদের যে সে শক্তি আছে, তাতার কিছুই প্রমাণ নাই। তবে শঙ্কর মধ্যে মধ্যে যখন সমাগত লোকদিগের অনুরোধে পিতামহ মহাশয়ের স্বচরিত দুই একটী সঙ্গীত গাইয়া শুনাইয়া থাকেন, তখন তঁহার স্বাভাবিক শক্তি দেখিয়া লোকে আশ্চৰ্য্যান্বিত হয় । ভবেশ ঝালক, তাহার এখনও (জাষ্ঠদিগের ন্যায় বিজ্ঞতা জন্মে নাই ; সুতরাং সে সঙ্গীতপ্ৰবৃত্তিকে একেবারে সংযত করিয়া ব্ৰাখিতে পারে না । বাড়ীতে কীৰ্ত্তার ও জ্যেষ্ঠদিগের ভয়ে স্থা করিবার সাধা নাই ; সুতরাং স্কুলে টেবিল চাপড়াঈয়া সমাধ্যায়ীদিগের নিকট গাইয়া থাকে। কিন্তু গৃহে আত্মীয় স্বজনের নিকটে গাইলে গানগুলি যেরূপ নির্দোষ হইত, সে সকল গান সেরূপ নির্দোষ থাকে না । হরচন্দ্ৰ নিষ্কৰ্ম্ম লোক, তিনি এ বিষয়ে কিছু অগ্রসর । তিনি কেবল সুগায়ক নহেন, গোপনে একজন ওস্তাদের নিকট বেশ বাজাইতেও শিখিয়াছেন। কিন্তু এই সঙ্গীতপ্রিয়তার জন্য তিনি অনেক নিষিদ্ধ কাৰ্যও করিয়া থাকেন। যে সকল দলের প্রতি তর্কভূষণ মহাশয়ের অতিশয় ঘূণা, তিনি আমোদপ্রিয়তার