পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YVe যুগান্তর রামায়ণ গান ও কবি শুনিতেছেন, যে দুই চারিজন নুতন লোকের সহিত আলাপ হইয়াছে, তাহদের সঙ্গে বন্ধুতা করিতেছেন । বাবুদের বাড়ীতে দুই দিন বাইনাচ হইয়া গেল। দ্বিতীয় দিবস চিমু ঘোষ ও জহরলাল উদ্যোগী হইয়া মুস্তফী বাবুকে বলিল, “আমাদের সঙ্গে একজন ভাল ৰাজিয়ে লোক আছেন, তিনি অদ্যকার আসরে বাজাইবেন।” মুস্তফী বাবু অতীব সন্তুষ্ট হইয়া সে কথা প্রচার করিয়া দিলেন। চিমু ও জহরলাল আশা করিয়াছিল যে, হরচন্দ্ৰকে সে আসরে বাজাইতে সম্মত করিতে পরিবে । কিন্তু হরচন্দ্ৰ কোন প্রকারেই সন্মত হইলেন না। চিমু ও জহরলাল অনেক পীড়াপীড়ির পর অকৃতকাৰ্য্য হইয়া বলিল, “আচ্ছা, আজ আমাদিগকে ভদ্রলোকের কাছে অপ্ৰস্তুত করিলে, কাল আমাদের বৈঠকখানাতে বাইজীদের গান ও নাচ হবার কথা হচ্চে, তাতে তোমাকে বাজাতে হবে, তখন না বলতে পারবে না।” হরচন্দ্ৰ মনে মনে স্থির করিয়া রাখিলেন তাহাতেও না বলবেন, কিন্তু মুখে কিছু বললেন না । পরদিন বৈকালে নশিপুরের দলের বৈঠকখানাতে বাইদের আসর DBSSS SDBDDB DDBDBDBBBBD DDD S SDBB KK DzS SDBBBSDDBD রসজ্ঞ ব্যক্তির সমাগম । কেবল চিমু ও জহরলাল নয়, দলস্থ লোকেরা সকলেই হরচন্দ্ৰকে ধরিয়া বসিল, বাজাইতেই হইবে । হরচন্দ্ৰ একবার ভাবিলেন, “বারাঙ্গনার সঙ্গে বাজান, ছিঃ ! তর্কভূষণের বংশের ছেলের কি এই কাজ ? বিশেষতঃ শ্বশুরালয়ের এত নিকটে ; না বাজাব না।” আবার ভাবিলেন, “সাধ করে বাজােনাটা শিখলাম, এই ত সে বিদ্যাটা দেখাবার উপযুক্ত সময়।” আবার ভাবিলেন-“না, না, বাপূরে এ কথা। যদি বাবার কাণে উঠে ?” পুনরায় মনে কাললেন, “কে বা দেখতে এসেছে, কারই বা এত গরজ পড়েছে, যে সংবাদটা আবার দিতে