পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুগান্তর শুনিলে কি বলিবেন, মনে মনে কেবল এই আশঙ্কা করিতেছেন । তিনি পূর্বের ন্যায় লোকের সঙ্গে বড় একটা কথাবাৰ্ত্ত কহিতেছেন না ; এবং সকল কাজই যেন একটু অন্যমনস্ক ভাবে করিতেছেন। কৰ্ত্ত মহাশয় এই ভাব লক্ষা করিয়া এক দিন জিজ্ঞাসা করিলেন, “শঙ্কর ! তোমাকে কয়েকদিন হতে কিছু বিমর্ষ দেখছি কেন ?” শঙ্কর উত্তর করিলেন, “একটা অশুভ সংবাদ পেয়ে কিঞ্চিৎ উদ্বিগ্ন আছি।” কৰ্ত্তা পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি অশুভ সংবাদ ?” শঙ্কর বলিলেন, “সেটা আপনার শুনে কাজ নাই ।” কৰ্ত্তা আর দ্বিতীয় প্রশ্ন করিলেন না। ভাবিলেন, এমন কিছু গোপনীয় DBDSS DkuBS DDD S DBDBDB S DDBDB DDSS gg BBBBBB DB তিন দিন পরে, একদিন অপরাষ্ট্রে তর্কভূষণ মহাশয় কথকতার আসরে একজন প্রতিবেশী ব্রাহ্মণের মুখে সিংহযোড়ের আমোদের বিবরণ শুনিলেন । ব্ৰাহ্মণ বলিলেন, “হরচন্দ্ৰ সে সঙ্গে ছিল ও বাইনাচে প্ৰকাশ্য স্থানে বসিয়া বাজাইয়াছে।” শুনিয়া তর্কভূষণ মহাশয় অতিশয় বিস্ময়াপন্ন হইলেন। প্রথমে ধীরভাবে উত্তর করিলেন, “না, তা কি হয় ; হার এমন কাজ করবে। কেন ?” সংবাদদাতা বললেন, “সেই চিমে ঘোষ ও জহরলাল গ্রামে এসে যাকে তাকে এই সব কথা বলছে। গ্রামের বালক বৃদ্ধ যুবা সকলের মুখে এই কথা শুনবেন।” শুনিতে শুনিতে তর্কভূষণ মহাশয়ের হৃদয় ভূগৰ্ভৰুৰ্ত্তী আগ্নেয় গিরির দ্রব-ধাতু-পুঞ্জের ন্যায় আন্দোলিত হইতে লাগিল। হরচন্দ্ৰ যে সিংহযোড়ের ব্লাস দেখিব বলিয়া গিয়াছে, তাহা তিনি জানেন। সে কি এমন প্ৰতারক ! শঙ্কর অদূরে বসিয়া এই সমুদায় কথোপকথন শ্রবণ করিতেছিলেন, এবং ভাবিতেছিলেন, এই বারেই বিপদ বাধিল । ইতিমধ্যে তৰ্কভূষণ মহাশয় ডাকিলেন, “শঙ্কর” ! শঙ্কর সবিনয়ে নিকটস্থ