পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

No 6 bzr शूशास्रुद्र কৰ্ত্তার ক্রোধের ভয়ে প্ৰাণ খুলিয়া খেলা করিতে পারিতেছে না ! যখন তর্কভূষণ মহাশয় বাড়ীর মধ্যে থাকেন, তখন বধূগণ পায়ের মল টানিয়া তুলিয়া গতায়াত করেন, যেন মলের শব্দ করতেও শঙ্কিত ! সকলের মন ত্রাস-যুক্ত, কি হয় কি হয় ! এমন সময়ে একদিন সংবাদ আসিল যে, সেইদিন অপরাহে হরচন্দ্র বাড়ীতে পৌছিবেন । অমান শঙ্কর পথে পথে পাহারা দিবার জন্য লোক বসাইয়া দিলেন ; যেন হরচন্দ্ৰ হঠাৎ কৰ্ত্তার সম্মুখের্ক আসিয়া না পড়ে। বাড়ীতে আসিবার যত পথ ছিল, সকল পথে লোক রহিল । অপরাহে হরচন্দ্ৰ বাড়ীর সন্নিধানে উপস্থিত । আমনি একজন লোক কৰ্ত্তার ক্রোধের কথা তীহাকে অবগত করল । হরচন্দ্রের পা আর উঠে না । একবার মনে করিলেন, “যে গৃহকে কলঙ্কিত করিয়াছি, তাহাতে আর প্রবেশ করিব না।” কিন্তু অবশেষে সকলের পরামর্শে খিড়কীর দ্বারা দিয়া অন্তঃপুরে প্রবেশ করিলেন । দেখিলেন, সকলেরই মুখ ভার ; কেহই তাহার সাহিত ভাল করিয়৷ কথা কহিলে না । কেবল শিবচন্দ্র ও শঙ্করের শিশু সন্তানের “ন কাকা এসেছে, ন কাক৷ এসেছে” বলিয়া একবার একটু কোলাহল করিবার উপক্ৰম করিল ; তাহাও ত্বরায় নিবারণ করা হইল । হরচন্দ্রের আগমনের সংবাদ পাইয়া শঙ্কর আগুঃ পুরে আসিলেন ; এবং ক্ৰোধে অগ্নি-প্রায় হইয়া যৎপরোনাস্তি তিরস্কার করিতে লাগিলেন। হরচন্দ্রের মুখে একটাও কথা নাই । তিনি আপনার ঘক্সে মেজেতে বসিয়া বাম করতলে গণ্ডস্থল রাখিয়া, দক্ষিণ হস্ত দ্বারা মাটিতে আঁকি কাটিতেছেন ও মধ্যে মধ্যে বস্ত্ৰাঞ্চলে চক্ষের জল মুছতেছেন। অনেক ভৎসনার পর শঙ্কর বললেন, “উত্তর দিসনে যে ?” হর । মেজ-দ৷! উত্তর দিবার থাকলে দিতাম ; তুমি যা বলচাে তার চেয়ে বেশী বলা উচিত ; আমার আর কিছু বলবার নাই।