পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰয়োদশ পরিচ্ছেদ ১৮৪৫ সালে হিন্দু কলেজের প্রথম শ্রেণীতে নবীনচন্দ্ৰ বসু নামে একটী যুবক পড়িত | ঐ যুবকটি শোভাবাজার নিবাসী, সুপ্রীমকোর্টের প্ৰসিদ্ধ মোক্তার শ্ৰীযুক্ত হলধর বসুর ভ্রাতুষ্পপুত্র। নবীনের কিছু অসাধারণত্ব আছে, তাহা ক্রমেই প্ৰকাশিত হইবে । নবীন স্বভাবতঃ চিন্তাশীল, বিনয়ী, সৎ ও আত্মোন্নতিতে মনোযোগী । স্বশ্রেণীস্থ ও সমবয়স্ক যুবকদিগের নাস্তিকতা, উচ্ছঙ্খলতা, সুরােপানাসক্তি র্তাহার ভাল লাগে না ; একারণ নবীন একপ্ৰকার সমবয়স্কদিগের সঙ্গে মেশা পরিত্যাগ করিয়াছেন । তাহারা যখন আমোদ প্রমোদ করে, তখন তিনি এক কোণে বসিয়া নানা গ্ৰন্থ অধ্যয়ন করেন । সেই সময়েই উক্ত কলেজের দ্বিতীয় শ্রেণীতে ব্ৰজরাজ ঘোষ ও সুরেন্দ্রলাল গুপ্ত নামে দুইটী বালক পাঠ করিত । তাহারা উভয়ে বয়সে নবীনের অপেক্ষা দুই তিন বৎসরের ছোট । এই দুইটি বালক সৰ্ব্বদা এক সঙ্গে বেড়াইত, যেন হরিহরাত্মা । ঘটনাক্রমে নবীনের সহিত ইহাদের পরিচয় হওয়াতে নবীন দেখিলেন, ইহারাও তাহার সমভাবাপন্ন ; ইহারাও শিক্ষিত যুবকগণের উচ্ছঙ্খলতা ভালবাসে না। ; এবং সেইজন্যই দুই জনে একত্রে দূরে দূরে বেড়ায়। তিনজনে স্বভাবতঃ বন্ধুতা জন্মিল। নবীনের মনে তখন আত্মোন্নতির বাসনা আগুনের মত জ্বলিতেছিল। তিনি সে অগ্নি অপর যুবকদ্বয়ের হৃদয়ে লাগাইয়া দিলেন । তিন জনে স্থির করিলেন যে, প্ৰতিদিন কলেজের ছুটীর পর, কলেজের ঘরে এক ঘণ্টা কি দুই ঘণ্টা বসিয়া সাধু ও