পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুগান্তর سرا মহাজনগণের জীবনচরিত গ্ৰন্থ সকল পড়িবেন । এইরূপ পাঠ কিছুদিন চলিল। ক্ৰমে কলেজ হইতে আসিতে বিলম্ব হয় বলিয়া তঁহাদের অভিভাবকগণ বিরক্তি প্ৰকাশ করিতে লাগিলেন। সুতরাং প্ৰতিদিন কলেজের ছুটীর পর বাসা পরিত্যাগ করিয়া, সপ্তাহে তিন দিন ব্রজরােজদিগের ভবনে, সন্ধ্যার সময় এক ঘণ্টা করিয়া পড়িবার নিয়ম করা হইল। প্রত্যেকে কলেজের ছুটীর পর বাড়ীতে গিয়া পরিশ্রমান্তে বায়ুসেবনের জন্য বাহির হইয়া, ব্ৰজরাজদিগের বাটীতে আসিয়া ফুটিতেন ; এবং প্রায় এক ঘণ্টাকাল একত্রে কোন উৎকৃষ্ট 9छ डाक्षावन कब्रिडन । অধ্যয়ন ও প্ৰাণ খুলিয়া আলোচনা করিতে করিতে এই যুবকত্ৰয়ের মধ্যে এক অপূৰ্ব্ব ভাবের উদয় হইল। তাহারা পরস্পরের সহিত সুমিষ্ট ৰন্ধু তাসূত্রে বদ্ধ হইল। প্রথমতঃ, তাহদের অন্তরে ধৰ্ম্ম ও নীতির প্রতি আস্থা দিন দিন বাড়িতে লাগিল। এই সময়কার শিক্ষিত যুবক মাত্ৰেই ইংরাজী ভাষার গোড়া ছিল । তাহারা ইংরাজীতে পরস্পরের সহিত কথোপকথন করিত, ইংরাজীতে চিঠি পত্র লিখিত ; ইংরাজী সাহিত্য পড়িতে ভালবাসিত ; এবং তৎসঙ্গে বাঙ্গালা ভাষার প্রতি অনুরাগবিহীন ছিল। কিন্তু এই তিন জন যুবক ইংরাজীর ন্যায় বাঙ্গালা সাহিত্যেরও অনুরাগী। সে সময়ে যে কিছু উৎকৃষ্ট বাঙ্গালা পুস্তক মুদ্রিত হইয়াছিল, ইহারা সে সকলই মনোযোগ পূর্বক পড়িয়াছিল, এবং পরস্পরে কথোপকথন করিবার ও চিঠি পত্র লিখিবার সময় বাঙ্গালা ভাষা ব্যবহার করিত। দ্বিতীয়তঃ, অন্যান্য ইংরাজীশিক্ষিত যুবকদিগের অনেকে সুরাপানের পক্ষপাতী, ইহারা সুরাপানের ঘোর বিরোধী ; তাহারা অনেকে নাস্তিক, ইহারা আস্তিক । এতদ্ব্যতীত অপরাপর বিষয়ে তদানীন্তন শিক্ষিত দলের সহিত ইহাদের সম্পূর্ণ মিল ছিল ; অর্থাৎ