পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 যুগান্তর মহাশয় চাকরের সঙ্গে কি কথা বলছেন। আমাকে দেখেই বললেন, “তোমার যেখানে জায়গা থাকে যাও, আমার বাড়ীতে তোমার স্থান নেই।” শুনে আমি কিছুক্ষণ দাড়িয়ে রইলাম। তার পর মনে করলাম একবার রাঙ্গা মাকে বলে আসি ; এই ভেবে যেমন বাড়ীর ভিতরের দিকে যাচ্ছি, অমনি জ্যোঠা মহাশয় গর্জন করে আমার দিকে ছুটি এলেন, “আবার বাড়ীর ভিতরে যাস যে ?” আমি বললাম, “রাঙ্গা মার সঙ্গে দেখা করে আসি।” তিনি বললেন, “আর রাঙ্গা মারি সঙ্গে দেখা করে না ।” এই বলেই একেবারে আমার গলা ধরে ঠেলে বাড়ীর বাহির করে দিলেন। আমি আর কি করবো, রাস্তাতে দাঁড়িয়ে একটু ভাবলাম, তারপর দাদার বাসাতে গেলাম। ব্ৰজরাজ। তার পর আর কি বাড়ীতে যাওনি ? নবীন। না, রাঙ্গা মার জন্যে বড় মন কেমন করে, চাকর এসে বলে তিনি দিন রাত্ৰি কেবল কঁাদেন, আমার জন্যে সৰ্ব্বদাই খাবার পাঠান, যেতে অনুরোধ করেন, কিন্তু কি করি আমি যেতে পারিনে। পঞ্চ। সুরেশ বাবুর বাসাতে তোমার সব সুবিধা মত হয়েছে ত ? নবীন । সে দুঃখের কথা বল কেন ? সে দাদা আর নাই । তিনি কি এক ব্যবসা খুলেছেন, তাতে আর কিছু হোক না হোক কুসঙ্গী কতকগুলো জুটেছে ; খুব মদ খেতে আরম্ভ করেছেন ; রাত্রে বাড়ীতে এসে এত উৎপাত করেন যে আমার পড়াশুনা কিছুই হয় না ; মেজাজ এমনি, খারাপ হয়েছে, যে ঘরের লোকের টেক। ভার। সে এক যন্ত্রণ। হয়েছে । আমি স্থির করেছি। স্বতন্ত্র বাসা করবো । কেবল বৌদিদির জন্যে পারিনে । সে ভদ্রলোকের মেয়ে যে আমাকে কি ভালবাসেন তা বলতে পারিনে। একদিন না দেখলে অস্থির হন। এখন আমি কাছে থাকাতে তিনি একটু সুখে আছেন। আমি চলে এলে তিনি