পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্দশ পরিচ্ছেদ । SGGO দেহ ছিলেন, মুখটা সদ্ভাবে ও ভক্তিতে যেন । श्रना, 6ण भू& দেখিলেই কেমন হৃদয় স্বভাবতঃ তঁাহার দিকে আকৃষ্ট হইত। ঘোষজা মহাশয় আপীসে প্রবেশের দ্বারের পাশ্বের ঘরেই বসিতেন ; এবং যত গাড়ি মাল আমদানী ও রপ্তানী হইত। তাহার হিসাব রাখিতেন। সুতরাং তঁহাকে প্ৰতিদিন প্ৰাতঃকালে আপীসে প্রবেশের সময়ে অনেকবার এই প্রশ্ন শুনিতে হইত,-“কি ঘোষজ মশাই, খবর কি ? সব কুশল তা ।” অমান ঘোষজার উত্তর,--“আজ্ঞে গোবিন্দের কৃপাতে সবই কুশল ।” ঘোষজ দোলের সময় কিছু ব্যয় করিতেন ; লোক জনকে শ্রদ্ধাসহকারে আহবান করিয়া উত্তমরূপে খাওয়াইতেন । এষ্ট জন্য আপীসের লোকে মাঘ মাস পড়িলেই জিজ্ঞাসা করিত,-“কি ঘোষজা মশাই, এবার দোল করবেন। ত ?” অমনি উত্তর,--“আজ্ঞে কি জানি, যা গোবিন্দের ইচ্ছা ।” গোবিন্দের প্রতি নিৰ্ভরের ভাব তাহার এমন স্বাভাবিক ছিল, যে ৮ বৎসর বয়সে ওলাওঠা রোগে তাহার দ্বিতীয় পুত্রটার কাল হইলে, তাহারই তিন চারিদিন পরে আপীসের একজন লোক জিজ্ঞাসা করিলেন,-“কি ঘোষজা মশাই, ছেলে দুটো মানুষ হচ্চে তাঁ।” ঘোষজ উত্তর করিলেন, ---“আজ্ঞে দুটো আর কৈ ? এখন ত একটা ; কেবল বড়টাই আছে।” প্ৰশ্নকৰ্ত্ত বিস্মিত হইয়া বলিলেন,-“সে কি, ছোটটার কি হলো ?” ঘোষজ উত্তর করিলেন,--“আজ্ঞে, গোবিন্দ সেটাকে নিয়েছেন।” ঈশ্বরের প্রতি এহ নির্ভর তাহার চরিত্রের একটা প্ৰধান শক্তি ছিল । তিনি প্ৰতিদিন অ্যাপীস হইতে আসিয়া মেচ্ছা-সংস্পৰ্শজনিত পাপ ক্ষালনের জন্য স্নান করিতেন ; এবং হাজার কৃষ্ণ নাম জপ করিতেন । তদনন্তর পাড়ার এক প্রতিবেশীর গৃহে চৈতন্য-চরিতামৃত পাঠ শুনিতে যাইতেন । সেখানে র্তাহারা সমবয়স্ক আরও দুই একটা বৃদ্ধ মিলিত হইয়া চৈতন্য-চরিতামৃত পাঠ করিলেন । তৎপরে বাড়ীতে আসিয়া আহারাদি করিতেন। বিষয়