পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্দশ পরিচ্ছেদ २०> | মথুরেশের বয়ঃক্রম যদিও ২৩ বৎসর মাত্র, তথাপি তাঁহাকেও বিষয় কৰ্ম্মে নিযুক্ত হইতে হইয়াছে। তিনি চল্লিশ টাকা বেতনের একটী চাকুরী । যোগাড় করিয়াছেন। সে কালে অল্প একটু ইংরাজী শিখিলেই লোকে । চাকুরীর চেষ্টা করিত। কৃষ্ণকামিনী শৈশবে বিধবা হইয়া পিতৃগৃহে ভ্ৰাতাদের আশ্রয়েই আছে। রাধারণী পতি গৃহ-বাসিনী । ভাগিনেয়াদ্বয় | বয়ঃপ্ৰাপ্ত হওয়ার পর শ্যামচাদ মিত্ৰ মহাশয়কে আর সর্বদা ইহান্দের . তত্ত্বাবধান করিতে হয় না। মধ্যে মধ্যে আসিয়া থাকেন। পূৰ্ব্বোক্ত কথোপকথনের দুই দিন পরেই নবীনচন্দ্ৰ ব্ৰজরাজদিগের - ভবনে বাস করিবার জন্য আসিলেন। সকলেরই আনন্দ । নবীনচন্দ্ৰ ৫০২ ৷ টাকা বেতনে ওরিএন্টাল সেমিনারিতে তৃতীয় শিক্ষকের কাজে নিযুক্ত । আছেন । সে পদ তঁহার বিদ্যাবুদ্ধির উপযুক্ত নহে। তিনি কেবলমাত্র ইংরাজীতে সুশিক্ষিত নহেন ; পাড়ার একজন পণ্ডিতকে কিছু কিছু দিয়া কয়েক বৎসর হইতে সংস্কৃত শিখিতেছেন। ইতিমধ্যেই উক্ত ভাষাতে র্তাহার একটু বুৎপত্তি জন্মিয়াছে। সুতরাং তিনি চেষ্টা করিলেই অধিক টাকা বেতনের একটী কৰ্ম্ম যোগাড় করিতে পারিতেন। কিন্তু মনে দারপরিগ্ৰহ করিবার সংকল্প না থাকাতে এবং অর্থের অধিক প্ৰয়াস নাই বলিয়া ঐ ৫০ টাকা বেতনেই সন্তুষ্ট হইয়া রহিয়াছেন । জ্ঞানচর্চাতেই আনন্দ, সেই জন্যই সহর ছাড়িতে অনিচ্ছুক । তিনি এ বাড়ীতে আসার পরদিন অপরাহে ব্ৰজরাজের মাতা বাহিরের ঘরে আসিয়া বলিলেন, “নবীন, বাড়ীর ভিতর এস, কিছু জল খাবে।” নবীনচন্দ্ৰ উঠিয়া সঙ্গে সঙ্গে চলিলেন। গৃহিণী নবীনকে লাইয়া গিয়া ব্ৰজরাজের বাসবার ঘরে বসাইলেন। বসাইয়া পুত্রবধূদিগকে ও কন্যাকে ডাকিলেন । পুত্রবধাদিগকে বলিলেন, “মা তোমরা প্ৰণাম কর। ; উনি যে ভাসুর হন।” এই বলিয়া ব্ৰজরাজের কনিষ্ঠা কন্যাটিকে লইয়া