পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»७ যুগান্তর আত্মীয় কুটুম্ব প্রভৃতি নিমন্ত্রিত ব্যক্তিগণ স্বীয় স্বীয় স্থানে প্রতিনিবৃত্ত BDBD S BBBLYS gDBD DDB DBDDDBD SS S DDBBD DDBBDBBB শেষ হইলেই তর্কভূষণ মহাশয়ের অন্তরে একটা প্ৰবল চিন্তা জাগরূক হইয়াছে ;-বিজয়ার জন্য কি করা যায়। তর্কভূষণ মহাশয়ের স্নেহের গভীরতা কত, তাহা তাহার ধীর গম্ভীর ও দুরবগাই আকৃতির উপরে লক্ষ্য করা যায় না । তঁহার অল্প মনোগত ভােবই বাক্যে বা বাহিরের উচ্ছাসে প্ৰকাশিত হইয়া থাকে ; কাৰ্য্যে সে সমুদায়ের প্রকাশ । বিজয়াখ বৈধব্যদশা-প্ৰাপ্তির দিন অবধি তাহার হৃদয়ের মন্মস্থানে একটা আঘাত লাগিয়াছে এবং অপরাপর চিন্তার সহিত বিজয়ার চিন্তা বিশেষরূপে হৃদয়ে জাগিতেছে । তিনি ভাবিতেছেন, বিজয়ার আকার প্রকার যেরূপ দাড়াইয়াছে, তাহাতে আর তাহাকে চক্ষের অন্তরালে পাঠাইতে সাহস হয় না। আর বস্তুতও নববৈধব্য বিজয়ার দেহমানে সুমহৎ পরিবর্তন ঘটাইয়াছে । র্তাহার সেই উজ্জল গৌর-কান্তি যেন মলিনতা-মেঘে আচ্ছন্ন হইয়াছে; সেই চির-প্ৰসন্ন মুখ কিরূপ গম্ভীর ও প্ৰশান্ত ভােব ধারণ করিয়াছে, দেখিলে খোদযুক্ত সন্ত্রমের উদয় হয় ; জীবনের প্রতি কি এক প্রকার অনাস্থা, বিষয়-সুখের প্রতি কি এক প্ৰকার নিলিপ্ত ভাব, সকলের প্রতি কি এক অপূৰ্ব্ব সৌজন্য, নিজের সুখ অপরকে দিবার জন্য কি এক প্রকার ব্যগ্ৰত সৰ্ব্বজীবে কি এক অদ্ভুত দয়া, মুখশ্ৰীতে কি এক প্রকার পবিত্রতার আভা ; দেখিলে বোধ হয় শোকাগ্নি মানবীকে পোড়াইয়া দেবী করিয়া তুলিয়াছে। তৰ্কভূষণ মহাশয় যে মুহূৰ্ত্তে বিজয়ার বৈধব্যানিমালিত মুখের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়াছেন, সেই মুহূৰ্ত্ত হইতেই বুঝিতে পারিয়াছেন যে শোকের দারুণ শেল সে প্ৰাণে অতিশয় বাজিয়াছে। তদবধি আর তঁহাকে দেবারদিগের নিকটে প্রেরণ করিবার ইচ্ছা নাই। আর প্রেরণ করিবেনই বা কাহার নিকটে ? দুই দেবরই ইংরাজীতে সুশিক্ষিত