পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্দশ পরিচ্ছেদ R O হৌক টিমী সৰ্ব্বদাই নবীনের সঙ্গী। নবীন আহার করিতে বসিলেই টিমী উপস্থিত, “আমি চঙ্গে থাব।” নবীন হাসিয়া বলেন, “তুমি চঙ্গে থাবে বৈ কি ?” অমনি তাহাকে কোলে বসাইয়া অগ্ৰে তাহার মুখে অন্ন দিয়া পরে নিজে অন্ন গ্ৰহণ করেন। টিমী যে কোন ব্যাকরণ অনুসারে পদ সিদ্ধ করে, এবং শব্দ-শ্যান্ত্রের কোন নিয়মানুসারে কথা কয়, কিছু বলিতে পারা যায় না। বর্ণমালার অনেক শব্দ উচ্চারণ করে না ; সুতরাং পরিবার পরিজনের চিরাভ্যস্ত কৰ্ণ ভিন্ন টিমীর ব্যাকরণ কেহ বুঝিতে পারে না । নবীনচন্দ্ৰ অনেক লক্ষ্য করিয়া শুনিয়া শুনিয়া টিমীর ব্যাকরণের তিনটা নিয়ম ধরিতে পারিয়াছেন । প্ৰথম, সে কবৰ্গকে তিবর্গ করিয়া উচ্চারণ করে ; দ্বিতীয়, শ, ষ, স, সমুদায়কে এক “চ’এর দ্বারা উচ্চারণ করে ; তৃতীয় “র ও ড়’কে ‘ল’এর দ্বারা উচ্চারণ করে। এইটা আবিষ্কার করার পর নবীনের আমোদ করিবার একটা জিনিষ হইয়াছে । এইরূপে নবীন অসঙ্কোচে নিজ গৃহের ন্যায়। এই গৃহে বাস করিতেছেন। কৃষ্ণকামিনী আবশ্যক মত র্তাহার নিকট আসেন ; আবশ্যকমত কথা কহেন ; কখনও কখনও কোনও পুস্তকের দুই এক পংক্তির অর্থ জানিয়া লন ; কিন্তু তদ্ভিন্ন বড় একটা মেশেন না ; বরং একটু দূরেই থাকেন। কৃষ্ণকামিনী স্বভাবতঃই ধার ; ধীরে ধীরে কথা কন ; ধীরে চলেন ; ধীরে ধীরে সব কাজ করেন। নিঃশব্দে গৃহের কত কাজ করেন, যাহারা লক্ষ্য করিয়া দেখে, তাহারাই আশ্চৰ্য্যান্বিত হয়। নবীনচন্দ্ৰ দূর হইতে কৃষ্ণকামিনীর প্রশংসাই শুনিয়াছিলেন, এরূপ নিকটে কখনও দেখেন নাই ; যতই দেখিতেছেন, মন মুগ্ধ হইয়া पीछेडtछ । একদিন নবীনচন্দ্ৰ স্কুল হইতে আসিয়া কাপড় ছাড়িয়া বাড়ীর ভিতর