পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Re:R যুগান্তর উঠিয়া গিয়াছে; সে বাড়ীর সঙ্গে নবীনের আর সম্পর্ক নাই ; কৃষ্ণকামিনীর বিষয়ে সে যে সন্দেহ করিয়াছিল, তাহা ঘুচিয়াছে; কিন্তু এই সংবাদে তাহার বুদ্ধি আর একদিকে ছুটিল। তাহার মনে হইল, নবীনচন্দ্র কৃষ্ণকামিনীকে दिदाश् করিতে চান ; এবং ব্রজরাজ ও তাহার মাতা এই পরামর্শের ভিতর প্রবেশ করিয়াছে; তাই নিমন্ত্রণাদি চলিতেছে। সে মনে মনে শাসাইয়া গেল ; কেহই কিছু বুঝিতে পারিলেন না। মাতঙ্গিনীর গমনের দুই দিন পরেই ব্ৰজরাজের মাতুল আবার একদিন সন্ধ্যার সময়ে এ বাটীতে আসিলেন। আসিয়া বলিলেন, —“কৃষ্ণ প্ৰায় এক বৎসর আমাদের বাড়ীতে যায় নাই। আমি তাহাকে কিছুদিন ও বাড়ীতে নিয়ে রাখতে চাই ।” গৃহিণী বলিলেন, -“বেশ ত, বেশ তাঁ।” কৃষ্ণকামিনীও বলিলেন “মামা, চলুন আজই আপনার সঙ্গে যাই ।” শ্যামচাদ বাবু বলিয়া গেলেন - “কলা তোমার জন্য লোক পাঠাবা, ষেও।” পরদিন লোক আসিয়া কৃষ্ণকামিনীকে মাতুলালয়ে লইয়া গেল। কৃষ্ণকামিনী গিয়া দেখেন, যেরূপ আশা করিয়া গিয়াছিলেন, তাহার সম্পূর্ণ বিপরীত। প্রথমতঃ, মাতঙ্গিনী তাহাকে বিধিমতে জ্বালাতন করিতে আরম্ভ করিল। কথায় কথায় নবীনের নিন্দ করে ; এষ্টটিা কৃষ্ণকামিনীর পক্ষে সৰ্ব্বাপেক্ষা অসহ্য বোধ হইতে লাগিল । সরলা বালিকা, অধিক কথা কহা তাহার অভ্যাস নয়, তর্ক করা তাহার স্বভাব নয়, চিরদিন নীরবে কাজ করিয়া আসিতেছে ; নীরব থাকিতেই ভালবাসে ; এবং চিরদিন নীরবে কাজ করিয়া যাইবে বলিয়া প্ৰতিজ্ঞারূঢ়ও আছে; কিন্তু মাতঙ্গিনীর ব্যবহারটা তাহার প্রাণে এতই ব্যথা দিতে লাগিল যে একদিন সেই স্বভাবতঃ শান্ত-প্ৰকৃতি বালিকারও মনে কোপের উদয় হইল। স্বাভাবিক সরল ক্ৰোধে তাঁহার মুখ ও চক্ষু রক্তবর্ণ হইয়া উঠিল। তিনি বলিলেন-“ছোট মাসি ! তোমার ব্যবহার দেখে আমি অবাক