পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

' ᎼᎨ যুগান্তর বাহির বাটী হইতে অন্তঃপুরে আসিলেন। আসিয়াই সৰ্ব্বাগ্রে বিধবাদিগের - নিকটে গেলেন এবং তঁহাদিগের সায়াহিক জলযোগের কিরূপ ব্যবস্থা হইয়াছে, তাহার তত্ত্বাবধান করিলেন। অবশেষে পুত্ৰগণসমভিব্যাহারে আহার করিতে বসিলেন । গোবিন্দ ও অপর কয়েকজন ছাত্ৰও বাহিরের রোয়াকে আহার করিতে বসিল । পুত্ৰগণের সহিত তাহাদিগকে লইয়া আহারে বসিতে তর্কভূষণ মহাশয়ের আপত্তি নাই, কারণ তাহারা ৰাটীর ছেলেরই মত। কিন্তু তাহা হইলে সে বেচারাদের আর আহার হয় না । তর্কভূষণ মহাশয় এমনি গম্ভীর প্রকৃতির মানুষ, যে, ভয়ে তাহদের আর মুখে হাত উঠে না। এই জন্য গোবিন্দ গৃহিণী ঠাকুরাণীর দ্বারা বলাইয়া বাহিরে খাইবার বন্দোবস্ত করিয়া লইয়াছে। আজ বাহিরে বিজয়ী তাহাদের আহারের তত্ত্বাবধান করিতেছেন, এবং এক একবার আসিয়া জানালার পার্থে গৃহিণীর নিকটে দাড়াইয়া ভিতরের আহারকারী:দিগকে দেখিতেছেন । পুত্ৰগণেরও পিতার সঙ্গে আহার করা এক ঘোর বিড়ম্বন । একে তর্কভূষণ মহাশয়ের প্রকৃতি অতি গম্ভীর, তাহাতে মেজাজটা । কিছু রুক্ষ। একটু কথার অসাবধানতা, বা কাজের ক্ৰটী হইলেই তাহার তিরস্কার সহ করিতে হয়। সেই ভয়ে ছেলেরাও অনেক সময় স্বতন্ত্র ঘরে আহার করিয়া থাকে। আজ কিন্তু সকলে একত্র বসিয়াছেন। নীরবে আহার চলিয়াছে ; শিশুরা সকলে ঘুমাইয়া পড়িয়াছে ; কেবল বিজয়ার কন্যা বিন্ধ্যবাসিনী ও শিবচন্দ্রের একটী কন্যা সুখদা দুইজনে জানালার উপরে বসিয়া আহার দেখিতেছে ; জানালার অপর পার্শ্বে গৃহিণী ঠাকুরাণী দণ্ডায়মানা আছেন ; তিনি দুইদিকের আহারের তত্ত্বাবধান করিতেছেন ; দুইটী বধু অবগুণ্ঠনাবৃত হইয়া পরিবেশন করিতেছেন। * মধ্যে কৰ্ত্তা একবার বিরক্তিস্বরে ভবেশকে বলিলেন, “তোর খাবার