পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ 决°4 কি কারণে জানি না, মাতঙ্গিনী কৃষ্ণকামিনীর ঘরে শয়ন করিবার। বন্দোবস্ত করিল। কৃষ্ণকামিনী আনন্দিত হইলেন, ছোট মাসীর সঙ্গে gB S SDDDBD SDDD S DBB S DBBBD DtS DDBDBD DBB বলিল,-“আমি কাহারও সঙ্গে এক বিছানাতে ঘুমাইতে পারি না। আমি মেজেতে শোব, তুই তক্তপোষেই থাক।” কৃষ্ণকামিনী সে বন্দোবস্তে আপত্তি করিয়া বলিলেন, “না ছোটমাসি। আমি মেজেতেই শোব, তুমি তক্তপোষে থাক।” মাতঙ্গিনী এই বন্দোবস্তে সন্তুষ্ট হইল। কৃষ্ণকামিনী সরল ভাবে বলিলেন, “ছোটমাসি, বাহির বাড়ীর দিকে জানােলা খুলে রেখা না।” মাতঙ্গিনী বলিল, “বাপারে! আমি গরমি সইতে পারিনে, হাওয়া না হলে বাঁচবো না।” সুতরাং সে জানালা প্ৰতি রাত্রে খুলিয়া রাখা হইত। দুই একদিন গভীর রাত্রে কৃষ্ণ ,ামনী যেন দেখলেন, জানাল দিয়া হাত বাড়াইয়া কে কি দিতেছে। ভাল করিয়া বুঝিতে পারিলেন না। কিন্তু ‘’ পূর্ব বৃত্তান্ত স্মরণ করিয়া মনে কিঞ্চিৎ সন্দেহের সঞ্চার হইল। আর একদিন তিনি অঘোরে ঘুমাইতেছেন, কে যেন তঁাহার পা মাড়াইয়া চলিয়া গেল, তাহাতে র্তাহার নিদ্রা ভঙ্গ হইয়া গেল ; তিনি পাশ্ব পরিবর্তন কািরয়া শুইলেন ; উঠিলেন না ; মশারির মধ্য হইতে দ্বারের অল্পালোকে দেখিলেন যেন সেই ঝাঁট চুপে চুপে কি বলিয়৷ ছোটমাসীকে ডাকিয়া লইয়া গেল । এই সকল দেখিয়া কৃষ্ণ কামিনীর মনে এক প্রকার অনির্দিষ্ট আতঙ্কের সঞ্চার হইল। একবার ভাবিলেন, মাতুলনাকে সমুদায় জানাইবেন, কিন্তু আবার ছোটমাসীর ভয়ে ও স্বাভাবিক লজ্জাশীলতাবশতঃ বলিতে পারিলেন না। তিনি ঘরে যাইবার জন্য ব্যস্ত হইয়া পড়িলেন। কিন্তু মিত্ৰজ মহাশয় যে উদ্দেশ্যে তঁহাকে আনিয়াছিলেন, তাহা তখনও ব্যক্ত করেন নাই, তাহার আরও দুইদিন অবশিষ্ট আছে।