পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R'90 যুগান্তর । সম্মতিলক্ষণং” সুতরাং নিশ্চিন্তু মনে পরদিন অনেক বেলা পৰ্যন্ত নিদ্রা যাইতেছেন। মহিলারা অতি প্রত্যুষে উঠিয়া গঙ্গাস্নানে গিয়াছেন। যাইবার পূর্বে কৃষ্ণকামিনীকে ডাকিয়াছিলেন, তিনি বলিয়াছেন, “আমি যাব না।” একটু পীড়াপীড়িও করা হইয়াছিল; কিন্তু তাহারা আর অপেক্ষা করিতে না পারিয়া চলিয়া গিয়াছেন । মিত্ৰজ মহাশয় নিদ্রাভঙ্গে যখন শুনিলেন যে কৃষ্ণকামিনী গঙ্গাস্নানে যায় নাই, তখন অতিশয় বিরক্ত হইলেন। উগ্র ও কর্কশাস্বরে কৃষ্ণকামিনীকে নিকটে ডাকিলেন,- “গঙ্গাস্নানে যাও নাই যে ?” কৃষ্ণকামিনী উত্তর করিলেন, “আমি কাল রাত্রে স্থির করেছি। গঙ্গাস্নানে যাব না, এবং পূজা করতে পারব না ; তদ্ভিন্ন আপনি যা কিছু আদেশ করেছেন তা সকলি করব।” মিত্রজ । ( অতি বিরক্তি-কর্কশ স্বরে ) সকল জেঠা সইতে পারি, মেয়ে জেঠা সইতে পারিনে ; আর রিফৰ্ম্মার হতে হবে না ; যাও, ভাল চাও ত এখনি গিয়ে স্নান করি ; যাও এখনি যাও, আর এক মিনিট দেরি করেন । কৃষ্ণকামিনী স্নান করিতে গেলেন । মিত্ৰজ মহাশয় বাড়ীর একটা দাসীকে একথান থান কাপড় দিয়া ও কৃষ্ণকামিনীর হাতের চুড়ি খুলিয়া লাইতে আদেশ করিয়া বাইরে গেলেন। বাড়ার মহিলারা গঙ্গাস্নানান্তে ফিরিয়া আসিয়া দেখেন, কৃষ্ণকামিনী স্বানান্তে গাত্রের অলঙ্কার খুলিয়া ও থান পরিয়া প্ৰস্তুত হইয়া আছে। সকলে কিঞ্চিৎ আশ্চৰ্য্যান্বিত হইলেন। ক্ৰমে পূজার সময় উপস্থিত; এইবার সর্বাপেক্ষা কঠিন সংগ্রাম। মহিলাগণ সাজিয়া প্ৰস্তুত, কৃষ্ণকামিনীকে বার বার আহবান করিতেছেন, কৃষ্ণকামিনী একবার বলিয়াছেন যে তিনি পূজা করিবেন না, আর কিছুই বলিতেছেন না। অবশেষে গৃহের বৃদ্ধ বিধবাদিগের মধ্যে একজন আসিয়া তাহার হাতে ধরিলেন, “মা লক্ষ্মিা! চল, নইলে কর্তা বড় রাগ করবেন,