পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ ২৩১ বিধবা মানষের ত এই কাজ ।” কৃষ্ণকামিনী সবিনয়ে উক্ত বুদ্ধাকে প্রতিনিবৃত্ত হইতে অনুরোধ করিলেন ; কোন ক্রমেই পূজাস্থিানে গমন করিলেন না। তৎপরে তঁাতার মাতুলানী আগমন করিলেন। তিনি করে ধরিয়া টানাটানি করিতে লাগিলেন, “একি কেষ্টো । এই সকাল বেলা একটা কাণ্ড বাধাবি, আয় আর দেরি করিাসনে।” কৃষ্ণকামিনী একপদও নড়িলেন না। তিনি টানাটানি করিতেছেন, ইতিমধ্যে মিত্ৰজ মহাশয় সংবাদ পাইয়া অতিশয় উত্তেজিত অন্তরে আ সিয়া উপস্থিত। সকলেই ভয় পাইল, কি জানি কি হয় । তিনি অতিশয় কর্কশাস্বরে চীৎকার করিয়া বলিলেন, “যাও, এখনি যাও, ভাল চাও ত আর একটুও দেরি করে না ।” কৃষ্ণকামিনী নিরুত্তর ; যাহা বলিবার তাহা বলিয়াছেন, আর কি বলিবেন ? সুতরাং উত্তর করিলেন না ; কিন্তু এক পদও নড়িলেন না । তাহতে মাতুল আরও কুপিত হইয়া উঠিলেন। অবশেষে নিজে তঁাহার হাত ধরিয়া আকর্ষণ করিতে লাগিলেন। কৃষ্ণকামিনী পাষাণ প্ৰতিমার ন্যায় দণ্ডায়মান, এক পদও নড়েন না ; তিনি এত গোলযোগ কিছুই দেখিতেছেন না ; কেবল ভাবিতেছেন, যাহা মানি না। তাহা কিরূপে করিব, বিশেষতঃ তিনি শুনিলে কি মনে করিবেন । মিত্ৰজ মহাশয় হাত ধরিয়া টানিতে লাগিলেন। সময় বুঝিয়া মাতাঙ্গনী বলিয়া উঠিল, “মাগো ! ধন্যি মেয়ে বলতে হবে, এত বড় লোকটা হাতে ধরে টানছেন, গ্রাহাই নাই। দাদা ছেড়ে দেও, কেন অপমানিত হও!” যেই এই কথা বলা, অমনি ঘৃতাহুতি পাইলে অগ্নি যেরূপ প্ৰজ্বলিত হয়, সেইরূপ এই প্ররোচনাবাক্যে মিত্ৰজ মহাশয়ের কোপ জ্বলিয়া উঠিল। তিনি সিংহের ন্যায় গর্জন করিয়া বলিয়া উঠিলেন, “তবে যাও মর,” এই বলিয়া এমন সজোরে এক গলাধাক্কা দিলেন যে কৃষ্ণকামিনী তিন হাত ঠিকরাইয়া গিয়া একটা বইএর আলমারির