পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R87 যুগান্তর প্রতারণা করিয়াছে, এবং কয়েক দিন পূর্বে সে বিষয়ের উল্লেখ করিয়া তঁহাকে সকলের সমক্ষে অপমান করিয়াছে । আজ হঠাৎ সে সুরেশচন্দ্রের বাটীর সম্মুখ দিয়া যাইতেছিল, এমন সময়ে তিনি আপাস হইতে বাটতে আসিতেছেন। বাড়ীর দ্বারে তাহাকে দেখতে পাইবামাত্ৰ ভূত্যসহ তাহার উপর পাড়িয়া বলপূৰ্ব্বক তাহাকে বাড়ীর মধ্যে টানিয়া আনিয়া, দ্বার বন্ধ করিয়া, উত্তম মধ্যম দিব ।ার ব্যবস্থা করিয়াছেন । জ্যেষ্ঠকে শান্ত করিতে নবীনচন্দ্রের অনেকক্ষণ গেল। তৎপরে পঞ্চাকে সঙ্গে করিয়া তিনি আবার কথাবাৰ্ত্ত কহিতে কহিতে স্বীয় বাসার অভিমুখে যাত্ৰা করিলেন । কয়েকদিন পরেই শুনিতে পাওয়া গেল, সেই দোকানদার পুলিশ আদালতে সুরেশচন্দ্রের নামে নালিশ উপস্থিত কারিয়াছে । সে যে কোথা হইতে নবীনচন্দ্রের ও পঞ্চর নাম সংগ্ৰহ করিল, তাহ বলা যায় না ; কিন্তু যথাসময়ে নবীনচন্দ্র ও পঞ্চ উভয়ে সাক্ষীর সপিনা পাইলেন। সুরেশচন্দ্র ও তাহার ভূতা উভয়ের প্রতি অভিযোগ ; আরও দুইজনকেও সাক্ষী মানিয়াছে ; প্রথম, সুরেশচন্দ্রে র বাড়ীর সম্মুখের মুদিীর দোকানের মুদী ও YBDBDB DBDDDD KguJS DBm SS সাক্ষীর সপিনা পাইয়াই নবীনচন্দ্র মকদ্দমা মিটাহঁয়া নিবার জন্য ব্যস্ত হইলেন। অনেকবার সেই দোকানদারের দোকানে ইটাইটি করিলেন। তাহা কে বুঝাইবার চেষ্টা করিলেন যে, সে যে প্রকার প্রবঞ্চনা করিয়াছিল ও তৎপরে ভদ্রলোকের সমক্ষে সুরেশচন্দ্ৰকে যে প্ৰকার অপমান করিয়াছিল, তাহাতে তাহার প্রতি ক্ৰোধের সঞ্চার হওয়াই স্বাভাবিক । অতএব সে নিজ কাৰ্য্যের উপযুক্ত শাস্তিই পাইয়াছে। এ নালিশে অতি সামান্য দণ্ড হইবে, এবং সে যদি নিবৃত্ত না হয়, সুরেশচন্দ্ৰ তাহার নামে প্ৰতারণার নালিশ আনিতে পারেন । এইরূপে সে ব্যক্তিকে ভয় ও মৈত্রী