পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RGR যুগান্তর ক্লেশ থাকিয়া গেল ; এবং মনে মনে নবীনের প্রতি আতিশয় ক্রুদ্ধ হইয়া রহিলেন । একদিন আপাস হইতে আসিয়া দেখেন, নবীনচন্দ্ৰ তাহার গৃহিণীর সহিত কথা কহিতেছেন। অমনি কোপাবিষ্ট হইয়া বলিলেন, “নোমকহারাম, বদমাস, বকাধাৰ্ম্মিক, দূর হ ; আমার বাড়ী হতে বেরো ; আমার স্ত্রী পুত্রের সঙ্গে তোর সম্পর্ক কি রে ?” নবীনচন্দ্ৰ দেখিলেন, থাকিলে বা উত্তর করিলে কোপ বাড়িবে। অমনি আস্তে আস্তে চলিয়া গেলেন । তৎপরে যতদিন তিনি সহরে ছিলেন, তাহার ভ্রাতৃজায়া তীহাকে লাইবার জন্য বার বার লোক পাঠাইতেন । চাকর ও দাসী আসিয়া ব’লত, “মা ঠাকুরুণ কেবল কঁদছেন, আপনি না গেলেই চলবে না।” তিনি কি করেন, তাহার জ্যেষ্ঠের কোপের ভয়ে যাইতে পারেন না ; অথচ তাহারও প্ৰাণ ভ্ৰাতৃজায়াকে সাস্তুনা করিবার জন্য ব্যগ্ৰ । অবশেষে সৌদামিনীকে নিম্নল্লিখিত পত্র লিখিলেন :- “বৌদিদি ! শুনিলাম দাদা আমাকে दछी श्tड डigाश्। gश७भ्रांठ তুমি প্ৰাণে বড় ক্লেশ পাইয়াছ, ও সৰ্ব্বদা কঁাদিতেছে। তোমার এত ক্লেশ কেন ? দাদাতে কি ছোট ভাইকে গালি দেয় না ? আমার গলাটিপে ত কতবার বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিতে চেয়েছেন । দাদার রাগটা একটু পড়ক, আবার দেখা সাক্ষাৎ হবে । এখন রাগের উপরে গেলে তোমারই যাতনা বাড়িবে। আমি বিদেশ যাত্রার পূর্বে তোমার সঙ্গে একবার দেখা করিবার চেষ্টা করিব। আর কিছু নয়, ভেনাকে যে সঙ্গে লইয়া যাইতাম, সেইটা হলো না । যাহা হউক, আমার একটী অনুরোধ তোমাকে রাখিতে হইবে। আমি গোপনে তোমার কাছে মাসে পািনর টাকা করিয়া পাঠাইব, তাহা হইতে তুমি ভোনার হিন্দুস্কুলের মাহিনী। ৫২ পাঁচ