পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R@ Ve যুগান্তর হইয়া গেল, টাকাও হাতে আসে না, “কিছুদিন পর”ও আর VatG7 | ঐ যে বৃদ্ধটা মাদুর পাতিয়া বসিয়া মনোযোগ সহকারে কাগজপত্ৰ দেখিতেছেন, উনি এই বাড়ীর কৰ্ত্ত, উহার নাম শ্ৰীযুক্ত হলধর বসু। উহার স্বৰ্গীয় পিতা ৬ রামনারায়ণ বসু কলিকাতাতে আসিয়া বাস করেন। তিনিই এই বাড়ী নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। হলধর বসুর বয়ঃক্রম এখন ৭১৭২ এর কম হইবে না। তিনি পাথুরিয়াঘাটার ঠাকুর বাবুদের বাড়ীতে মোক্তারী কৰ্ম্ম করেন । ঐ কাজ বহুদিন করিয়া আসিতেছেন। এক্ষণে কাজ কৰ্ম্ম বড় করিতে হয় না, বসিয়া মাংসহারা পাইয়া থাকেন ; এবং বড় বড় মকদ্দমা পড়িলে, এক আধ বার আদালতে যাইতে হয়, ও উকীলাদিগকে পরামর্শাদি দিতে হয়। তবে বাবুদের বৈঠকখানাতে মধ্যে মধ্যে দেখা দিয়া আসিতে হয় । এক্ষণে র্তাহার প্ৰধান কাজ কোম্পানির কাগজের সুদের হিসাব রাখা ও তেজারতে যে টাকা খাটিতেছে, তাহার সুদ প্রভৃতি আদায় করা। এটা একটা প্ৰতিদিনের কাজ ; সৰ্ব্বদাই তঁহাকে এজন্য ব্যস্ত থাকিতে হয় ; এবং কখনও কখনও ছোট আদালতে নালিশ করবার জন্য যাইতে হয় । বৃদ্ধটা আজ যেরূপ কাগজপত্র দেখিতেছেন, ঐস্বৰূপ কাগজপত্র প্ৰায় প্রত্যহই দেখিয়া থাকেন। ঐ চিন্তা ভিন্ন তঁহার অন্য চিন্তা যে আছে, এরূপ বোধ হয় না । দেবতা ব্ৰাহ্মণে কোনও দিন বিশেষ ভক্তি জন্মিয়াছে কিনা সন্দেহ । বাল্যকালে পারসী, আরবী ও কাজ চালাইবার মত ইংরাজী শিখিয়াছিলেন ; সেইমাত্র সম্বল; তাহাও মরিচ পড়িয়া fiftig পাড়াতে মধ্যে মধ্যে কথকতা, পুরাণ পাঠ, রামায়ণ গান প্রভৃতি হইয়া থাকে, কিন্তু বৃদ্ধটা সেদিকে বড় একটা যাইতে চান না। তাহার দুইটী