পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R(ty যুগান্তর সুরেশচন্দ্রের বয়ঃক্রম এখন ৩৩৩৪ হইবে, তাহার চারি পাঁচটী পুত্ৰ কন্য। যে দিনের কথা বলিতেছি, সেদিন বাড়ীর ভিতরের একটা ঘরে মাদুর পাতিয়া বসিয়া বৃদ্ধটা একমনে কি কাগজপত্ৰ দেখিতেছেন। এমন সময়ে একটী চাকরাণী আসিয়া ডাকিল,-“কৰ্ত্ত, গা তুলে আমন, ভাত বাড়ী হয়েছে।” বৃদ্ধ অন্যমনস্কভাবে একবার “হু” করিয়া ऐठेउं विन्, কিন্তু উঠিলেন না। কিয়ৎক্ষণ পরে এক গৌরাঙ্গী স্থূলাকৃতি প্ৰবীণা আসিয়া বলিলেন,-“কি, খেতে দেতে হবে ? না ভাতগুলো শুকিয়ে যাবে?” ঐ গৌরাঙ্গীর নাম কৃপাময়ী, উনি ইহার গৃহিণী ও নবীনের রাজা মা । . বৃদ্ধ কাগজপত্র বাক্সে তুলিয়া উঠিলেন । তাহার আহারের স্থানে যাইবার পূর্বেই দুইটী বিড়াল তাঁহাকে ডাকিতে আসিয়াছিল। ऊिनि উঠিবামাত্র তাহারা লাঙ্গুল উদ্ধ করিয়া আনন্দধ্বনি করিতে করিতে আহার স্থানে চলিল। বৃদ্ধ খড়ম জোড়াটী পায়ে দিয়া খাট খাট শব্দে অগ্রসর হইলেন ; বুদ্ধটা কিছু অধিক শুষ্কাকৃতি ! কৃপণ হইলে কি মানুষ কিছু শুষ্কাকৃতি হইয়া থাকে ? বলিতে পারি না ;– মনে সাধারণত: এই একটা সংস্কার আছে যে, কৃপণ ও হিংসুকে লোক বেশ মোটাসোটা ও প্ৰসন্নাকৃতি হয় না। সে যাহা হৌক, এ বৃদ্ধটা বড় শুষ্কাকৃতি, নীরস ও একহারা ; বর্ণটা যৌবনকালে কিরূপ ছিল বলা যায় না, বোধ হয় উজ্জল শ্যামবর্ণই ছিল ; কিন্তু তাহ শুষ্কাকৃতিতে ভাল করিয়া ধরিতে পারা যাইতেছে না ; কপালে অনেক চিন্তার রেখা ; চক্ষু দুইটী বিষয় চিন্তা করিয়া করিয়া দগ্ধ বরাটিক-কল্প ; পরিধানে একখানি আটহাতি ধুতি। লোকের মুখে শুনি, মধ্য বয়সে তিনি নাকি বাড়ীতে থাকিবার সময় এত ছোট কাপড় পরিতেন যে কাছ দিতে কুলাইত না। লোকে