পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

之心粤 १ोंg DBB BDDBDSDD DDDBD BBDB BBB DBDDSS SBDBBD DBDBD নবীনচন্দ্ৰ অনেকটা আশ্বস্ত হইলেন। দিন রাত্রি রোগীর শুশ্ৰষা চলিল । এই কারণে র্তাহাকে স্কুল হইতে কয়েক দিনের ছুটী লাইতে হইল। তৎপরে তিনি, পঞ্চ, গোবিন্দ ও সুরেন গুপ্ত চারিজনে পালা করিয়া স্কুলের কাজ ও রোগীর সেবা দুইই চালাইতে লাগিলেন। এই উপলক্ষে পঞ্চ, গোবিন্দ ও সুরেনের সহিত বসুজ মহাশয় ও তঁহার গৃহিণীর পরিচয় হঠয়া গেল। ক্ৰমে বসুজ মহাশয় আরোগ্যলাভ করিতে লাগিলেন । মানুষের মন কি বিচিত্র । যাহাকে কিছুতেই নরম করিতে পারে না, তাহাকে অনেক সময়ে রোগে নরম করে । এই রোগ-শয্যায় শয়ন করিয়া বৃদ্ধ হলধর বসু অনুভব করিয়াছেন যে তিনি যমের দ্বার হইতে ফিরিয়া আসিলেন। যখন পর্যুকালের ছায় তাহার উপরে পড়িতেছিল, তখন তিনি ক্ষণকালের জন্য বিষয়ের অনিত্যতা অনুভব করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। তঁহার মৃত্যুর পরে তঁহার সে বিষয় কে ভোগ করিবে, র্তাহার কোম্পানির কাগজের সুন্দ কে আদায় করিবে, কে তঁহার বিষয়ের জন্য ছোট আদালত আর ঘর কবিবে ? এই সকল চিন্তা অতি প্ৰবল ভাবেই কয়েকবার তঁহার মনে উদয় হইয়াছে। যতবারই এই সকল প্রশ্ন আসিয়াছে, ততবারই যেন চক্ষে অন্ধকার দেখিয়াছেন ; এবং এক একবার তঁহার আশার ষ্টি ঐ পার্শ্বাস্থত ভ্রাতুষ্পপুত্রের উপরে পড়িয়াছে, যে ব্যক্তি পুত্রের অধিক একাগ্রতার সহিত র্তাহার সেবা করিতেছে। রোগ-যাতনার মধ্যে তিনি এক একবার নবীনকে উইল করিবার কথা বলিয়াছেন, কিন্তু নবীন সে কথা উড়াইয়া দিয়াছেন ; বলিয়াছেন, “এ ব্যারাম শীঘ্ৰ সারিয়া যাইবে, ওসব কথা এখন থাক।” এমন যে কঠিন বৃদ্ধ, এমন যে শুষ্কাকৃতি ও শুষ্কন্ধদয় বৃদ্ধ, তিনিও নবীনের শুশ্রুষাতে সন্তুষ্ট হইয়া কৃতজ্ঞতা প্ৰকাশ না করিয়া থাকিতে পারেন